(বাঁ দিকে) শান্তিপ্রসাদ ওরফে এসপি সিন্হা এবং প্রসন্ন রায়। —ফাইল চিত্র
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় দুই অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ (এসপি) সিন্হা এবং প্রসন্ন রায়ের বেশ কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে ২৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে তারা। সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায় বেশ কিছু জমি এবং ফ্ল্যাট রয়েছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রসন্নকে গ্রেফতার করে ইডি। এর আগে একই মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পান। প্রথমে ইডি আদালতে জানিয়েছিল, প্রসন্ন শিক্ষা দফতরের আধিকারিক এবং অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতু হিসাবে কাজ করতেন। অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিতেন। তিনি একাই ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে দাবি করে ইডি। এ ছাড়া, প্রসন্নের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট নিয়ে কারচুপির অভিযোগও তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে ইডি লিখিত আকারে জানায়, প্রসন্নের নামে ১০০টির বেশি সংস্থা রয়েছে। তিনি একাই ২০০টির বেশি অ্যাকাউন্টের মালিক অথবা নিয়ন্ত্রক। প্রসন্ন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন বলেও দাবি করে ইডি। তারা জানায়, ওই সমস্ত সম্পত্তি কেনা হয়েছে অত্যন্ত কম দামে।
অন্য দিকে, নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ১০ অগস্ট এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গত ৩ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ ছিল শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে। গ্রুপ সি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদকে। অভিযোগ, তাঁর আমলেই মূলত নিয়োগ দুর্নীতি হয়।