টুইটারের এশিয়ার সদর দফতর বন্ধ করছেন ইলন মাস্ক? ফাইল ছবি।
সিঙ্গাপুরের সদর দফতর বন্ধ করে দিচ্ছে টুইটার। কর্মীদের বলা হয়েছে বাড়ি থেকে কাজ করতে। এতেই প্রশ্ন উঠছে, এশিয়ায় টুইটারের সদর দফতর কি বন্ধ হওয়ার মুখে? এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত টুইটারের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। টুইট করেননি ইলন মাস্কও। যে ভাবে অফিস ছাড়ার নোটিস জারি হয়েছে, তাতেই অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকেই নানা রকম টানাপড়েন চলছে সান ফ্রান্সিসকোর এই সংস্থায়। চাকরি গিয়েছে বহু মানুষের। সিঙ্গাপুরের অফিসে কর্মরত বহু মানুষ চাকরি খুইয়েছেন। স্বভাবতই, এই যাত্রায় কি পাকাপাকি ভাবে সিঙ্গাপুরে টুইটারের অফিসে তালা পড়তে চলেছে, তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত বুধবার সিঙ্গাপুরে টুইটারে কর্মরতরা একটি মেল পান। তাতে লেখা ছিল, ‘‘হাতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময়। তার মধ্যে অফিস চত্বর ছেড়ে দিতে হবে। বৃহস্পতিবার থেকে বাড়িতে বসেই কাজ করতে হবে।’’ এই বয়ানের মেল পেয়েই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান কর্মীরা। তা হলে কি আবার ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হবে? টুইটারের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াতেও সিঙ্গাপুরের সমস্ত কর্মীকে ‘রিমোট’ বা দূরবর্তী এলাকা থেকে কাজ করেন এমন কর্মী হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটা গ্রিন বিল্ডিংয়ে টুইটারের অফিস। সেই অফিসেও তালা পড়েছে।
সিঙ্গাপুরেই রয়েছে টুইটারের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সদর দফতর। সেই অফিসটি ক্যাপিটা গ্রিন ব্লিডিংয়ে। তার মালিক ক্যাপিটা ল্যান্ড। টুইটার কি অফিস ছেড়ে দিচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবে ক্যাপিটা ল্যান্ড জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত টুইটার তাদের ক্যাপিটা গ্রিন বিল্ডিংয়ের চুক্তি নিয়ে কিছু জানায়নি। টুইটার এখনও তাদের গ্রাহক। যদিও সাত তাড়াতাড়ি অফিস খালি করার মেল পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বহু টুইটার কর্মী।