ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
সাধের টুইটারও কি‘শিক্ষা’ দিল তাঁকে? অন্তত তাঁর একটি টুইটের নীচে ‘ডিসপিউটেড’ লেখা সেই বার্তাই দিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টের উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করল ওই মাইক্রোব্লগিং সাইট। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শনিবার বেশ কিছু নেটাগরিক ট্রাম্পের টুইট ‘লাইক’, ‘রিটুইট’ করতে পারেননি। তাঁর অনেক টুইটের লিঙ্কও কপি করা যায়নি। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্পের কয়েকটি টুইটে ‘ডিসপিউটেড’ লেখাও দেখা যায়। টুইটারের তরফে এক আমেরিকান সংবাদসংস্থাকে জানানো হয়েছে, ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে ট্রাম্পের টুইট অ্যাকাউন্টের উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে যে সব টুইট আমাদের দর্শনের পরিপন্থী, সেই সব টুইটে সতর্কবার্তা দেওয়া থাকবে’।
ট্রাম্প টুইটে লিখেছিলেন, ‘আমি বিপুল ভোটে জিতেছি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সব বৈধ ভোটের কথা আমি বলছি। ভুয়ো ভোটারদের কথা বলতে পারব না। সর্বত্রই ভুয়ো ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। কী লজ্জা’! এই টুইটের নীচেই লেখা, ‘ভোট কারচুপি সম্পর্কে এই দাবি বিতর্কিত’।
ট্রাম্পের সেই টুইট।
আরও পড়ুন: চিন নিয়ে ফের আক্ষেপ জয়শঙ্করের গলায়
আরও পড়ুন: টেক্সাসও হতাশ করল ট্রাম্পকে, ভোটবাতিলের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
সম্প্রতি ইউটিউবও বলেছে, আমেরিকার ভোটে কারচুপি নিয়ে যে ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে, তা তারা নামিয়ে নেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, জর্জিয়া এবং উইসকনসিনের পর রিপাবলিকানদের ‘দুর্গ’ টেক্সাসেও হতাশ হতে হয় আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। টেক্সাসে ভোট বাতিলের যে আর্জি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প, শুক্রবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেয়। ফলেপ্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েও আদালতের ভরসায় ফের ক্ষমতাসীন হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি, তা চুরমার যায়।
এ বার টুইটারেও ‘শিক্ষা’ পেলেন!