প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার পরেও গদি ধরে রাখতে মরিয়া আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের একটি পারমাণবিক কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি তাঁর এই পরিকল্পনার কথা জানালে তাঁর প্রশাসনই তাঁকে নিরস্ত করে। ইরানের প্রধান পরমাণু কেন্দ্রটি রয়েছে নাতাঞ্জে।
দৈনিক ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’কে এ কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনেরই এক পদস্থ অফিসার। দৈনিকটি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে তাঁর এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। উদ্দেশ্য ছিল, ইরানকে আক্রমণ করে যদি আমেরিকার নাগরিকদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে তোলা যায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, নবনিযুক্ত তদারিক প্রতিরক্ষাসচিব ক্রিস্টোফার মিলার এবং সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলি।
ট্রাম্প প্রশাসনের ওই অফিসার জানিয়েছেন, বৈঠকে অন্য যাঁরা হাজির ছিলেন তাঁদের বেশির ভাগই ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে এখন আঘাত হানার বিরোধিতা করেন। তাঁদের যুক্তি ছিল এতে হিতে বিপরীত হবে। ওই আঘাত হানার প্রেক্ষিতে বড়সড় সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। তাতে বিশ্বের জনমত আরও বেশি করে ট্রাম্পের বিপক্ষে চলে যেতে পারে। আরও বিমুখ হয়ে পড়তে পারেন আমেরিকার নাগরিকরাও।
ইরানের এই মূল পরমাণু কেন্দ্রেই হামলা চালানোর কথা ভেবেছিলেন ট্রাম্প। ছবি- টুইটার।
অফিসারের কথায়, ‘‘ইচ্ছা প্রকাশ করে উনি (প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) সকলের মতামত জানতে চেয়েছিলেন। তখন প্রায় সকলেই ওঁকে বোঝান এটা এখন করা উচিত হবে না। সব শুনে উনিও আর না এগনোরই সিদ্ধান্ত নেন।’’
এই খবরের সত্যাসত্য নিয়ে হোয়াইট হাউস এখনও পর্যন্ত ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছুই বলেনি।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় টানা ১১ দিন নতুন সংক্রমণ ১ লক্ষের উপর, আরও সঙ্কটে অর্থনীতি
আরও পড়ুন: ভাবী ভাইস প্রেসিডেন্ট কেন অন্তরালে, জল্পনা আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর ৪ বছরের শাসনকালের প্রায় গোটাটাই ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক থেকেছেন। তেহরান সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ ও অস্ত্রের মদত জোগাচ্ছে এই অভিযোগ তুলে অন্য দেশগুলি যাতে ইরানের তেল কেনা বন্ধ করে তার জন্য নিরন্তর চাপ সৃষ্টি করে গিয়েছে তাঁর প্রশাসন। ভারতও সেই চাপ এড়াতে পারেনি।