আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরেই এই শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেয়াদ শেষের মুহূর্তে আবার এই শক্তি প্রয়োগ করলেন তিনি। ফাইল চিত্র
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ শেষ হওয়ার আর কয়েকটা দিন বাকি। তার আগেই নতুন করে ২৬ জনকে ক্ষমা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ আইনি প্রক্রিয়া থেকে মুক্তি দিলেন তাঁদের। সেই তালিকায় রয়েছেন পল মানাফোর্ট, ট্রাম্পের দীর্ঘ দিনের পরামর্শদাতা রজার স্টোন, চার্লস কুশনার।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরেই এই শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেয়াদ শেষের মুহূর্তে আবার এই শক্তি প্রয়োগ করলেন তিনি। শক্তি প্রয়োগ করে নিজের দীর্ঘকালীন রাজনৈতিক সঙ্গী থেকে পরামর্শদাতাদের শাস্তির মুখ থেকে বাঁচালেন।
রজার স্টোন ও মানাফোর্ট দীর্ঘ দিন ধরেই ট্রাম্পের ছায়া সঙ্গী। রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থান ও ভোটের প্রচারের অন্যতম পরিকল্পনায় ছিলেন দু’জন। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রচারের ক্যাম্পেন ম্যানেজার ছিলেন স্টোন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পর্যন্ত ক্ষমা করার জন্য যে ক’টি আবেদন মঞ্জুর করেছেন, তার প্রত্যেকটির সঙ্গে হয় তাঁর নিজস্ব যোগাযোগ রযেছে, অথবা রাজনৈতিক কোনও যোগ রয়েছে। অভিযোগ, বিচারব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে বেশির ভাগ সমযেই ট্রাম্প ক্ষমা করার আবেদন সরাসরি অভিযুক্ত বা রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছ থেকে শুনেই ক্ষমা ঘোষণা করে দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার তিনি এমনও ১৫ জনের ক্ষমা মঞ্জুর করেছেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য এবং এমন কয়েক জন যাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় সাধারণ ইরাকি নাগরিকদের হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমা পাওয়া পল মানাফোর্টের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ১৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের কর ফাঁকি দেওয়া এবং প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালে তিনি ব্যাঙ্কের কাছে মিথ্যা বলেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ সব মানতে নারাজ প্রেসিডেন্ট অবশ্য ক্ষমার পথেই হেঁটেছেন।
আরও পড়ুন: গভীর হচ্ছে রাজনৈতিক সঙ্কট, কাঠমান্ডুর হাওয়া বুঝতে তৎপর বেজিং
আরও পড়ুন: সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বেশি, ফের নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মিলল ব্রিটেনে