দুবাই বিমানবন্দরে কার্যত দিশাহারা শয়ে শয়ে যাত্রী। ছবি: রয়টার্স।
বিশাল বিমানবন্দরে কার্যত দিশাহারা শয়ে শয়ে যাত্রী। ইনফরমেশন ডিসপ্লে বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে দেড়শোর বেশি উড়ানের তথ্য। সবই ‘ডিলেড’। আর বুধবার দুপুর পর্যন্ত দুবাই বিমানবন্দরে সেই ডিসপ্লে বোর্ডে কলকাতায় আসার এমিরেটসের ইকে ৫৭২-র অস্তিত্ব থাকলেও সন্ধ্যার পরে তাও মুছে যায়।
এই শয়ে শয়ে দিশেহারা যাত্রীকে তথ্য দেওয়ার জন্য দুবাই বিমানবন্দরে এমিরেটসের কোনও কর্মীকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি, জানিয়েছেন যাত্রীরাই। যে বোর্ডিং গেট থেকে কলকাতার উড়ান ছাড়ার কথা ছিল, তার সামনের ডিসপ্লে বোর্ডে কখনও কলকাতা, কখনও তা বদলে ওয়ার’শ (পোল্যান্ডের রাজধানী) হয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুবাইয়ে নেমে এই যাত্রীরা আটকে পড়েছেন বিমানবন্দরে। ফলে অনেকেই বসার জায়গাটুকু পাননি। দুবাই বিমানবন্দরের বিখ্যাত ‘ডিউটি ফ্রি শপ’ বন্ধ। কিছু খাবারের দোকান খোলা। সেখানেই ভিড় যাত্রীদের।
ম্যাঞ্চেস্টার থেকে কলকাতার পথে আটকে পড়া যাত্রী চিকিৎসক শুভজিৎ দত্তরায় বলেন, “কবে কলকাতায় যেতে পারব জানি না।” প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে দুবাইয়ে এক জনের মৃত্যুর খবর মিললেও বুধবার দুপুর থেকে রোদ উঠেছে। কিন্তু শহর থেকে বিমানচালক ও বিমানকর্মীরা বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারছেন না। বিমানবন্দরের কাছাকাছি থাকা এমিরেটসের এক কর্মী তিন ঘণ্টায় ২০ মিনিটের পথ পেরিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছতে পেরেছেন। মূলত বিমানবন্দরের সাফাইকর্মীরাই মঙ্গলবার থেকে নিরলস ‘ওভার-টাইম’ করে চলেছেন।