Leonardo Da Vinci

Mona Lisa: ‘পৃথিবীর কথা ভাবুন শিল্পীরা’, বলেই মোনা লিসাকে কেক ছুড়ে মারলেন ‘বৃদ্ধা’

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, মোনা লিসার সামনে প্রত্যাশামাফিক ভিড়। দর্শকদের মধ্যে ছিলেন হুইলচেয়ারে বসা এক ‘বৃদ্ধা’ও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

প্যারিস শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২২ ০৫:৪৩
Share:

কেক মাখানো মোনা লিসার ছবি তুলতে ব্যস্ত দর্শকেরা। ছবি: টুইটার।

বছরে অন্তত ৮০ লক্ষ মানুষ দেখতে আসেন ছবিটি। দুনিয়ার সব থেকে পরিচিত ও আলোচিত সেইছবি, লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা ‘মোনা লিসা’কে কেক ছুড়ে মারলেন এক পরিবেশপ্রেমী। বুলেটপ্রুফ কাচের ঘেরাটোপে থাকার ফলে রেনেসাঁস শিল্পকলার অন্যতম মহান এই নিদর্শনের অবশ্য কোনও ক্ষতি হয়নি। সপ্তাহান্তে হওয়া এই হামলার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

Advertisement

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, মোনা লিসার সামনে প্রত্যাশামাফিক ভিড়। দর্শকদের মধ্যে ছিলেন হুইলচেয়ারে বসা এক ‘বৃদ্ধা’ও। হঠাৎ তড়াক করে লাফিয়ে উঠে মোনা লিসাকে লক্ষ্য করে কেক ছুড়ে মারেন িতনি। ছবির সামনে পুরু বুলেটপ্রুফ কাচে গিয়ে পড়ে সেই কেক। তখন গোটা কাচটায় সেই কেকের ক্রিম লাগিয়ে দেন তিনি। তার পরে চারপাশে দর্শকদের দিকে গোলাপফুল ছুড়তে শুরু করেন।

মুহূর্তে ঘটনাস্থলে চলে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন তাঁরা। তখন দেখা যায়, বৃদ্ধা নয়, ইনি এক জন কম বয়সি পুরুষ। মাথায় পরচুলা ও টুপি। বৃৃদ্ধা সেজে, হুইলচেয়ারে চেপে মিউজ়িয়ামে ঢুকেছিলেন। তবে ল্যুভ্‌র মিউজ়িয়ামের প্রদর্শনী গ্যালারিতে খাবার নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ। ফলে ওই ব্যক্তি কী ভাবে কেক নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়লেন, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।

Advertisement

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ফরাসিতে চিৎকার করে কিছু বলছেন সেই ব্যক্তি। পরে জানা যায় তিনি বলছিলেন, ‘‘পৃথিবীর কথা ভাবুন শিল্পীরা, পৃথিবীর কথা ভাবুন। সব শিল্পীরাই পৃথিবীর কথা ভাবুন। তাই জন্য আমি এই কাজ করেছি। অনেকে এই পৃথিবীকে ধ্বংস করে ফেলতে চাইছে। সে কথা ভাবুন।’’ এই ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করা না-হলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি জলবায়ু আন্দোলনের এক কর্মী। বয়স বছর ৩৬। আটক করে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ল্যুভ্‌রের নিরাপত্তারক্ষীরা। কাচের উপর থেকে কেক মুছে ফেলছেন এক নিরাপত্তারক্ষী, সেই ভিডিয়োয় টুইটারে পোস্ট করেছেন অনেকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement