প্যালেস্টাইনিদের সমর্থনে ছবি পন্থীদের মিছিল। শুক্রবার ইয়েমেনের সানায়। ছবি রয়টার্স।
প্যালেস্টাইনের সমর্থনে বিক্ষোভে প্রথম দিনেই ধাক্কা খেল টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিআইএফএফ)। বেন স্টিলার অভিনীত ফিল্ম ‘নাটক্র্যাকারস’-এর প্রিমিয়ার দিয়ে উৎসব শুরু হওয়ার কথা ছিল। তা-ই হল, তবে ফিল্ম নয়, চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রইল প্যালেস্টাইন।
গত কাল চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে বিক্ষোভ এমন মাত্রা নেয় যে, টরন্টোর প্রিন্সেস অব ওয়েলেস থিয়েটারে ডেভিড গর্ডন গ্রিন পরিচালিত ছবিটির স্ক্রিনিং মাঝপথে থমকে যায়। প্যালেস্টাইনপন্থীদের ক্ষোভ মূলত ‘রয়্যাল ব্যাঙ্ক অব কানাডা’ (আরবিসি)-র বিরুদ্ধে। চলচ্চিত্র উৎসবের ‘অফিশিয়াল পার্টনার’ আরবিসি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আরবিসি গাজ়ার গণহত্যায় অর্থ ঢালছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে চার জন হলের ভিতরে ঢুকে গিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। থিয়েটার তখন ভর্তি। দর্শকাসনে ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকেন, ‘‘টার্টল আইল্যান্ড (উত্তর ও মধ্য আমেরিকাকে এই নামে ডাকে সেখানকার ভূমিপুত্ররা) থেকে প্যালেস্টাইন, আরবিসি গণহত্যায় অর্থ ঢেলেই চলেছে।’’ অনেকে আবার বলতে থাকেন, ‘‘আরবিসি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হত্যা করছে। টিআইএফএফ ওদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করুক।’’ দর্শকদের অনেকে পাল্টা চিৎকার করতে শুরু করেন, ‘‘চলে যাও এখান থেকে।’’ বেশি ক্ষণ চলেনি বিক্ষোভ। কয়েক মিনিটের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীরা এসে বিক্ষোভকারীদের হল থেকে বার করে দেন। বিক্ষোভ চলাকালীন ফিল্মের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে আন্দোলনকারীরা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁদের সংহতি জানিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ফিল্ম-পড়ুয়ারা ‘নাটক্র্যাকারস’-এর সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
টিআইএফএফ এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আরবিসি একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘প্রত্যেকেরই কোনও বিষয়ে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে। আমরা সেটা সম্মান করি। কিন্তু এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সেটা দুঃখজনক। কর্পোরেট স্পনসরদের নিশানা করতে গিয়ে শিল্পীদের অসম্মান জানানো হল।’’