বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গে দিল্লির পাশে জাপান

আর সে ক্ষেত্রে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে গোটা অঞ্চলে নিজেদের মতো করে প্রভাব তৈরি করাটা অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ছে জাপানের। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০০
Share:

জাপানের বিদেশমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কোনও সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী।

রিজিয়োনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ বা আরসিইপি-তে ভারতের যোগ না-দেওয়ার সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়াল জাপান। এশিয়ার ১৬টি দেশের মধ্যে ওই প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে সদ্যসমাপ্ত ভারত এবং জাপানের মধ্যে বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় (টু প্লাস টু) সবিস্তার কথা হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আঞ্চলিক বাণিজ্য শক্তিশালী করতে দক্ষিণ এশিয়ার আসিয়ান-ভুক্ত দশটি দেশ এবং তাদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে আবদ্ধ ছ’টি দেশ (চিন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড)-এর মধ্যে আগামী বছরই এই

আরসিইপি চুক্তি সই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত তাতে শামিল হচ্ছে না। জাপান জানাচ্ছে, ভারতকে বাইরে রেখে তারাও এই চুক্তিতে যোগ দিতে রাজি নয়। সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী হেইদেকি মাকাহারা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা আদৌ এই চুক্তি সই করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছি না। যেটা আমরা ভাবছি তা হল, যে ভাবেই এই চুক্তি সই হোক, তা ভারতকে রেখেই করতে হবে।’’ চলতি মাসে ভারত সফরে আসছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাঁর প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য মাকাহারার বক্তব্য, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতকে এই চুক্তির অন্তর্ভূক্ত করাটা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত যাতে যোগ দেয় তার জন্য কথা বলা হবে।’’

Advertisement

আরসিইপি চুক্তির সিদ্ধান্তের পরে গোড়া থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিল ভারত। চিনা পণ্যের রমরমা নিয়ে আপত্তি তো ছিলই। তা ছাড়া, ভারতের অভ্যন্তরীণ উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রথম থেকেই এই চুক্তির পক্ষে সায় দেয়নি নয়াদিল্লি। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, আবে-র আসন্ন সফরের অন্যতম লক্ষ্যই থাকবে গোটা অঞ্চলে চিনের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত একাধিপত্য কমিয়ে তাতে ভারসাম্য আনা। অন্য দিকে, আমেরিকা-সহ উন্নত দুনিয়ার বাজারের উপর নির্ভরতা কমানোর জন্য চিনের লক্ষ্য অঞ্চলে একটি পরিবর্ত বাজার তৈরি করা। জাপান যে চিনের এই পদক্ষেপ চোখ বুজে মেনে নেবে না— সেটাই প্রত্যাশিত।

আর সে ক্ষেত্রে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে গোটা অঞ্চলে নিজেদের মতো করে প্রভাব তৈরি করাটা অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ছে জাপানের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement