নারীর সমানাধিকার নিয়ে বহু কথা হলেও, ঘর পরিচালনার ক্ষেত্রে সব সময় এই ‘অধিকার’ সমান থাকে না। স্বামী, স্ত্রী দু’জনে কর্মরত হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এখনও ঘরের কাজ করতে হয় স্ত্রীকে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
এখনও অনেক ক্ষেত্রেই ধরে নেওয়া হয়, কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি রান্না করা, বাসন মাজা, বাড়ি পরিষ্কার, কাপড় কাচা, বাচ্চাদের দেখভালের মতো কাজ মেয়েরাই সামলাবেন। (ছবি: শাটারস্টক)
বৈষম্যের এই ছবি ভারতের মতো বিদেশেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়। পুরনো সেই ধারণা পাল্টাতে এগিয়ে এল স্পেনের একটি স্কুল। গোড়া থেকেই শোধরানোর পর্ব শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
স্পেনের সেই স্কুলের নাম ‘কোলেজিও মোন্টেকাস্তেলো’। সেখানে নিয়ম করা হয়েছে পড়াশোনা, অন্যান্য এক্সট্রা কারিকুলার অ্যক্টিভিটিজ-এর পাশাপাশি ছেলেদেরও শিখতেই হবে ঘর গৃহস্থালির কাজ। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
কর্তৃপক্ষের দাবি, লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে এটা তাদের একটা উদ্যোগ। অভিনব ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের নাম ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
স্কুলের ছাত্ররা নিয়ম করে শিখছে রান্না, সেলাই, ইস্ত্রি করা এবং ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা। সেই সঙ্গে থাকছে কাঠের কাজ, রাজমিস্ত্রির বেসিক কাজ ও ইলেকট্রিশিয়ানের কাজও। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
এখানেই শেষ নয়। রয়েছে আরও চমক। তা হল, স্কুল কর্তৃপক্ষ এই প্রোজেক্টে সামিল করেছে পড়ুয়াদের বাবা মাকেও। বিশেষ করে, বাবাদেরও ছেলেদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে করতে হয়েছে ঘরের কাজ। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
উদ্যোগের শুরুটা অবশ্য খুব মসৃণ ছিল না। ঘরের কাজ শিখতে গিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বেশির ভাগ ছাত্রই। কিন্তু তাদের উৎসাহ দেন অভিভাবকরা। এখন দেখা যাচ্ছে, ঘর গৃহস্থালির কাজ দক্ষতার সঙ্গে দিব্যি করছে ছাত্ররা। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
বিভিন্ন কাজ শেখার পরে ছাত্র এবং তাদের বাবাদের উপলব্ধি, প্রথমে সবথেকে কঠিন মনে হয়েছিল রান্না এবং জামাকাপড় ইস্ত্রি করা। কিন্তু একবার আয়ত্তে আসার পরে দুটোই বেশ সহজ মনে হচ্ছে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবক, দু’পক্ষেরই ধারণা, সংসারের সহজপাঠ শেখা থাকলে ভবিষ্যতে উপকৃত হবে ছাত্ররাই। (ছবি: শাটারস্টক)