ঈশান এবং অনন্যা। ছবি: সংগৃহীত।
ক্রিপ্টোকারেন্সি। এই বিষয়টা অনেকের কাছেই একটা গোলকধাঁধার মতো। কিন্তু বছর চোদ্দোর ঈশান এবং বছর নয়েকের অনন্যার কাছে তা যেন নস্যি! ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুই ভাই-বোন বর্তমানে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকেই মাসে আয় করছে ৩৫ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা)।
যেখানে অনেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে হিমশিম খান, এই বয়সে দু’জনে তা আয়ত্ত করল কী ভাবে? তা-ও আবার পাকা পেশাদারদের মতো। কোথা থেকেই বা এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিকল্পনা তাদের মাথায় এল? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে ঈশান জানিয়েছে, সাত মাস আগে ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিটকয়েন এই শব্দগুলি সম্পর্কে শুনেছিল সে। বিষয়টি নিয়ে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়। এর পরই বিষয়টি নিয়ে ইউটিউব এবং বিভিন্ন পত্রিকা ঘাঁটাঘাটি শুরু করে সে। তার কথায়, “তখনই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা মাথায় আসে। কিন্তু বিনিয়োগ করার মতো অত টাকা ছিল না আমাদের কাছে। তাই ঠিক করেছিলাম বিনিয়োগ করার আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের জন্য সঠিক সামগ্রী কিনব।” অন্য দিকে অনন্যা বলে, “দাদা আর আমি দু’জনে মিলে এই বিনিয়োগের পরিকল্পনা করি। বিষয়টি ভাল লাগার পর দাদাকে এ বিষয়ে উৎসাহও দিয়েছি।”
তবে কয়েক দিনের মধ্যেই বিষয়টি আয়ত্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে দু’জনে। সাত মাস ধরে ইউটিউব ঘেঁটে, বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টো সংক্রান্ত নানা পত্রিকা পড়ে বিনিয়োগ সম্পর্কে ভাল ভাবে জানার চেষ্টা করেছে তারা। তার পরই গেম খেলার জন্য কেনা নিজের কম্পিউটারকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের উপযোগী করে তোলে। এমনই জানিয়েছে ঈশান। তার কথায়, “শুরুতে দিনে ৩ ডলার আয় করছিলাম। এখন সেখানে মাসে ৩৫ হাজার ডলার আয় করছি। আমরা খুব খুশি।”
এটাকেই কি ভবিষ্যতের পেশা হিসেবে বেছে নিতে চাইছে ঈশান-অনন্যা? এখনও সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু স্থির না করলেও তবে এই টাকা নিজেদের উচ্চশিক্ষার কাজেই খরচ করতে চায় বলে জানিয়েছে ঈশান।