মাটির উপরে তুলে আনা হল ডুবোযান টাইটানের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: রয়টার্স।
খোঁজ পাওয়ার প্রায় পাঁচ দিন পর অতলান্তিকের অতল থেকে মাটির উপরে তুলে আনা হল ডুবোযান টাইটানের ধ্বংসাবশেষ। কানাডার একটি জাহাজে করে ওই ধ্বংসাবশেষগুলিকে নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন পোর্টে এনে রাখা হয়েছে। এই ধ্বংসাবশেষগুলি পরীক্ষা করে টাইটানের দুর্ঘটনার বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে পারবেন তদন্তকারীরা বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার যখন টাইটানকে উপকূলে নিয়ে আসা হল তখন সেটির ধ্বংসাবশেষ ত্রিপলে মুড়ে রাখা ছিল। তার মধ্যে থেকেই উঁকি মারছিল বহু তার। কানাডা এবং আমেরিকা এই দুই দেশের সরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই টাইটানের এই মর্মান্তিক পরিণতির কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনা গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে। ওশানগেটের এই পর্যটন এবং ডুবোযানের নিরাপত্তা নিয়েও এখন হাজারো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত ১৮ জুন ওশানগেটের ডুবোযান চালক-সহ পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে অতলান্তিকের গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিল। ডুবোযানটিতে ছিলেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজ়াদা দাউদ এবং তাঁর পুত্র সুলেমান, ওশানগেট সংস্থার মুখ্য আধিকারিক স্টকটন রাশ এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট। গভীর সমুদ্রে অভিযান শুরু করার পৌনে ২ ঘণ্টার মধ্যেই ডুবোযানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সহযোগী জাহাজ পোলার প্রিন্সের সঙ্গে। তার পর থেকে টাইটানের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। চার দিন পর টাইটানিকের ধ্বংসস্থল থেকে ১৬০০ ফুট দূরে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়। আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং সমুদ্র বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক অনুমান, জলের চাপে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল টাইটান। এবং সেটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। পাঁচটি টুকরোর হদিসও মিলেছিল। সেই টুকরোগুলিকেই নিয়ে আসা হল মাটির উপরে।