নিজস্ব চিত্র
তালিবানের বিরুদ্ধে বন্দুক তুলে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। আফগানিস্তানের সেই মহিলা গর্ভনর সালিমা মাজারিকে নিজেদের হেফাজতে নিল তালিবান। হাজারা জেলার গভর্নর ছিলেন মাজারি। তালিবান আফগানিস্তান দখলের মুহূর্তেই মহিলাদের অধিকার নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, তালিবদের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশে মহিলাদের অধিকার রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘তালিবানের আওতায় থাকা প্রদেশগুলিতে মহিলাদের অস্তিত্ব রক্ষাই এককথায় অসম্ভব। শহরেও মহিলারা সমান ভাবে অত্যাচারিত। সকলেই ঘরে বন্দি।’’ মাজার-ই-শরিফে বসে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছিলেন সালিমা।
শিয়া মুসলমানদের দ্বারা পরিচালিত হাজারা সম্প্রদায়ভুক্ত সালিমা। সুন্নি তালিবরা শিয়াদের একেবারে পছন্দ করেন না। সেই কারণেই এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চিরস্থায়ী। দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ রয়েছে। শুধু তালিবান নয়, আইএসআইএস-এর আক্রমণের মুখেও বারবার পড়তে হয়েছে এঁদের। গত মে মাসে কাবুলের স্কুলে যে হামলা হয়, সেটিও শিয়াদের লক্ষ্য করেই করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
তালিবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের সামান্য পর থেকেই মাজার-ই-শরিফে নিজস্ব একটি ঘাঁটি তৈরি করে তালিবান বিরোধীদের একজোট করছিলেন সালমা। বহু তালিবান বিরোধী সাধারণ মানুষ ও যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজস্ব বাহিনীতে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য ছিল, তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।