ছবি: সংগৃহীত।
ইরান এবং জেহাদি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বজায় রাখার পাশাপাশি চিন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধেও সামরিক শক্তিবৃদ্ধি করা হবে বলে সোমবার জানাল আমেরিকা। যে সব ঘাঁটি মূলত এই দুই দেশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কাজ করছে সেখানে বাড়ানো হবে সেনাবাহিনীর সংখ্যা। ‘গ্লোবাল পশচার রিভিউ’-এর ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত বলে এ দিন জানায় পেন্টাগন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসের মসনদে আসার পর পর এই রিভিউ-এর রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন জো বাইডেন। যার অন্তর্গত এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হলেও তা সংক্রান্ত বিস্তারিত কিছু নিয়ে মুখ খোলেনি পেন্টাগন। গোপনীয়তা রক্ষার্থেই এই পদক্ষেপ বলে জানান আধিকারিকেরা। তবে চিন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই প্রতিরোধ গড়তে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপরে অবস্থিত তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে শক্তিশালী করে তুলতেই মূলত জোর দেওয়া হবে বলে পেন্টাগন সূত্রের খবর।
পেন্টাগনের উচ্চ পদস্থ নীতি নির্ধারণকারী আধিকারিক মারা কার্লিনের কথায়, ‘‘চিন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলির তরফে সামরিক উত্তেজনার মোকাবিলা করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিরতা বজায় রাখতে আমেরিকার মিত্র দেশ এবং সহযোগীদের সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে।’’ পাশাপাশি, ইউরোপে রাশিয়ার আগ্রাসন রুখতে প্রতিরোধের দিকে নজর দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।