কিম জং উন। —ফাইল চিত্র।
কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ। তার জেরে শাসক কিম জং উনের নির্দেশে উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ৩০ জন সরকারি কর্মীকে হত্যা করা হল। এমনই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে। তাতে বলা হয়েছে, সরকারি কাজে গাফিলতির অভিযোগেই কিম ওই নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় বড় ধরনের বন্যা হয়েছে। ভূমিধস, ভারী বৃষ্টি এবং বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘরছাড়া হয়েছেন অজস্র। ওই রিপোর্টে আরও দাবি, কিমের মতে যাঁরা চেষ্টা করলে ক্ষয়ক্ষতি রুখতে পারতেন, তেমন বেশ কয়েক জন সরকারি আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টিভি চ্যানেল এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই খবর প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, গত মাসে অর্থাৎ অগস্টেই কিমের ওই নির্দেশ পালন করা হয়েছে। ২০-৩০ জন সরকারি কর্মচারীকে হত্যা করেছে সরকার। তবে উত্তর কোরিয়া প্রশাসন সর্বক্ষেত্রেই চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখার কারণে, খবর প্রকাশ্যে আসেনি। দক্ষিণ কোরিয়ার ওই টিভি চ্যানেলটি তাদের সূত্র উদ্ধৃত করে এ-ও জানিয়েছে, কঠোর শাস্তির হুমকি গত মাসেই দিয়ে দিয়েছিল কিম প্রশাসন।
খবরটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ় এজেন্সির (এনসিসিএনএ)একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, জুলাই মাসেই বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর শাস্তি’র নিদান দিয়েছিলেন কিম। এনসিসিএনএ এ-ও জানিয়েছে, ওই নির্দেশ দেওয়ার আগে একটি আপৎকালীন পলিটব্যুরো বৈঠকও ডাকেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার সিনুইজুতে সেই বৈঠকেই কিমের নির্দেশে প্রায় ৩০ জন সরকারি কর্মীর ‘ভাগ্য’ লেখা হয়।