আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তুমুল ধরপাকড়ের পরেও দমিয়ে রাখা যায়নি ইজ়রায়েল বিরোধী আন্দোলন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, তাঁদের মধ্যে কত জন পড়ুয়া তা এখনও স্পষ্ট নয়।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার চত্বরে প্যালেস্টাইনপন্থী পড়ুয়াদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ইজ়রায়েলের কিছু সমর্থক। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পুলিশ কার্যত সংঘর্ষ থামাতে কোনও পদক্ষেপই করেনি। পাশাপাশি, আন্দোলনের কারণে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বাড়ি থেকে ক্লাস হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সহ আমেরিকার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন প্যালেস্টাইনপন্থী পড়ুয়ারা। বেশির ভাগ আন্দোলনকারীর দাবি, ইজ়রায়েলকে সমর্থন করে এমন সংস্থা থেকে বিলগ্নিকরণ করতে হবে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও সিটি কলেজ থেকে প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই আন্দোলনের মধ্যেই বুধবার ‘অ্যান্টিসেমাইটিজ়ম অ্যাওয়ারনেস অ্যাক্ট’ (ইহুদি-বিদ্বেষ সচেতনতা আইন)-এর পক্ষে ভোট পড়ল আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসে। পাস হল সেই বিল। হাউসে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান সদস্য মিলিয়ে মোট ৩২০ জন এই বিলের সপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোটাভুটির সময় হাউস স্পিকার মাইক জনসন পড়ুয়াদের প্যালেস্টাইনপন্থী আন্দোলনের কথা তোলেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, এর মাধ্যমে মূলত সেন্সরশিপ চাপাতে চাইছে সরকার।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন অন্য দিকে পড়ুয়াদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন বলেছেন, ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে কোনও রকম অশান্তি কখনওই কাম্য নয়।