তাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম সংস্থা জেকেএন গ্লোবাল গ্রুপ পিসিএলের সিইও জাক্কাফং। পেশায় তিনি আইনজীবী। — ফাইল ছবি।
২০১২ সালের আগে পর্যন্ত ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় রূপান্তরকামীদের অংশগ্রহণের অনুমতি ছিল না। এ বার সেই ‘মিস ইউনিভার্স’ সংগঠনটিই কিনে নিলেন এক রূপান্তরকামী শিল্পপতি। দু’কোটি ডলারের বিনিময়ে সংগঠনটি কিনেছেন তাইল্যান্ডের মিডিয়া টাইকুন জাক্কাফং জাক্রাজুতাতিপ। ভারতীয় মুদ্রায় ১৬৫ কোটি ৭২ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা।
তাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম সংস্থা জেকেএন গ্লোবাল গ্রুপ পিসিএলের সিইও জাক্কাফং। পেশায় তিনি আইনজীবী। রূপান্তরকামীদের হয়ে মামলাও লড়েন। বুধবার জাক্কাফংয়ের সংস্থার তরফে ‘মিস ইউনিভার্স’ সংগঠনটি কেনার কথা জানানো হয়েছে। এ বার থেকে এশিয়ায় এই প্রতিযোগিতার প্রসারই উদ্দেশ্য সংস্থার। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রসাধনী, লাইফস্টাইল পণ্য, ডায়েটরি সাপ্লিমেন্ট, পানীয় উৎপাদন করবে বলেও জানিয়েছে সংস্থা।
জাক্কাফং নিজে জানিয়েছেন, এই অধিগ্রহণ করে তিনি ‘সম্মানিত’। ভবিষ্যতে এই প্রতিযোগিতার মঞ্চে ভিন্ন সংস্কৃতি, রীতি, ভাবধারার মেয়েরা অংশগ্রহণ করুন, পরস্পরের মধ্যে সেই সংস্কৃতির বিনিময় করুন, এটাই তিনি চান। এর আগে কোনও মহিলা এই সংগঠনের মালিক হননি। সেদিক থেকে জাক্কাফংই প্রথম। সংগঠনের সিইও এবং সভাপতিও জানিয়েছেন, জাক্কাফংয়ের সংস্থার সঙ্গে জুড়তে পেরে তাঁরা খুশি।
১৯৫২ সাল থেকে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার শুরু। ২০১২ সালে প্রথম এই প্রতিযোগিতার মঞ্চে ওঠেন এক রূপান্তরকামী। সে বার কানাডার এক রূপান্তরকামী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু জন্মের সময় তিনি ছেলে ছিলেন, এটা জানতে পেরে আয়োজকরা ওই প্রতিযোগীকে বাতিল করে দেন। তিনি মামলা করার হুমকি দেন। এর পরেই ‘মিস ইউনিভার্স’-এর মঞ্চে রূপান্তরকামীরা অংশগ্রহণের সুযোগ পান। তার পরেও বার বার সমালোচনার মুখে পড়েছে এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। মেয়েদের ‘পণ্য’ হিসাবে দেখার অভিযোগ উঠেছে। জাক্কাফং দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা কোন পথে হাঁটে, এ সব অভিযোগ থেকে মুক্তি মেলে কি না, তা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।