প্রতীকী ছবি।
বিদেশ মন্ত্রকের সামনে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের দায় নিল আইএস। জঙ্গিগোষ্ঠীর মুখপত্র ‘আমাক’ বৃহস্পতিবার একটি সামাজিক মাধ্যম মেসেঞ্জার অ্যাপে দাবি করেছে, ‘‘আইএসের এক সদস্য এই হামলা চালিয়েছে।’’ বুধবার বিকেলে এই বিস্ফোরণে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। জখম ৪০-এরও বেশি। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের আঘাত গুরুতর। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখা আইএস-খোরাসান দাবি করেছে, নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেক কূটনৈতিকও রয়েছেন বলে দাবি তাদের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, বিদেশ মন্ত্রকের মূল ফটকের ঠিক বাইরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ভবনের সে রকম কোনও ক্ষতি না হলেও কাচের জানলাগুলো গুঁড়িয়ে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা গুলির শব্দও পেয়েছিলেন। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালানোর আগেই আত্মঘাতী বোমায় উড়ে যায় আইএস জঙ্গি।
আফগানিস্তানে আইএস হামলার প্রধান লক্ষ্য বিদেশিরা। এর আগেও বহু বার আইএস এমন জায়গায় হামলা চালিয়েছে, যেখানে বিদেশি কূটনীতিকেরা উপস্থিত রয়েছেন। গত কাল বিদেশ মন্ত্রকের ভবনের সামনে যখন বিস্ফোরণ ঘটে, তখন সেখানে এক দল চিনা কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন তালিবান প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা।
আইএসের এই হামলার কড়া নিন্দা করে আজ এক বিবৃতি জারি করেছে বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন, এই হামলায় কোনও চিনা নাগরিক আক্রান্ত হননি। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের অর্থহীন হামলার কড়া নিন্দা করে চিন। আমরা আশা করব, সে দেশের তালিবান সরকার আফগান এবং সব বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারবে।’’ হামলার নিন্দা করেছে আমেরিকাও।