—ফাইল চিত্র।
মাসের শেষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে একের পর এক হামলায় কাঁপছে আফগানিস্তান। কাল দু’টি আত্মঘাতী হানায় ৫০ জনের প্রাণহানির ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের আঘাত জঙ্গিদের। আজ জালালাবাদের একটি সরকারি ভবনে আত্মঘাতী হামলা হয়। কোনও সংগঠন এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় না নিলেও কালকের আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছিল তালিবান। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরেই বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘শান্তি আলোচনা’ ফের শুরুর আগ্রহ দেখিয়ে ওয়াশিংটনকে বার্তা দেন তালিবানের পক্ষে প্রধান মধ্যস্থতাকারী শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজ়াই।
আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে প্রায় বছরখানেক ধরে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল আমেরিকা। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। তবে দীর্ঘ কথাবার্তার পরেও কোনও চুক্তিতে পৌঁছতে পারেনি দু’পক্ষ। পাশাপাশি আলোচনা প্রক্রিয়া চলাকালীনই একের পর এক হামলা চালিয়েছে তালিবান জঙ্গিরা। এর পরেই ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনায় ইতি টানার নির্দেশ দেন। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয় সেই আলোচনা প্রক্রিয়া।
আজ এক সাক্ষাৎকারে স্তানিকজ়াই জানান, আলোচনার ‘দরজা এখনও খোলা’। তবে হামলার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রয়োজনে আলোচনায় ফিরতে আগ্রহী ওয়াশিংটনও। তবে তালিবানের পক্ষে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পেলেই সে পথে হাঁটবে তারা।
২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে তালিবান আরও বড় হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা। কূটনীতিকদের মতে, কাল পারওয়া প্রদেশের চারিকা শহরে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির নির্বাচনী প্রচারে আত্মঘাতী হানার ঘটনাই তার প্রমাণ। ওই হামলার পরেই তালিবান মুখপাত্র জ়াবিউল্লা মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘‘মানুষকে নির্বাচনী প্রচারে যেতে বারণ করেছিলাম আমরা। তা সত্ত্বেও সেখানে গিয়ে যদি কোনও রকম ক্ষতির মুখোমুখি হন তাঁরা, তা হলে দায় তাঁদেরই।’’ এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা এবং তালিবানকে ফের আলোচনার টেবিলে মুখোমুখি বসাতে পাকিস্তান সক্রিয় ভূমিকা নেবে বলে জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আজ পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকার এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।