তালিবান প্রধান আখুন্দজাদা। ফাইল চিত্র।
অন্য কোনও দেশে হামলা চালানোর জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন আফগান তালিবান প্রধান মোল্লা হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা। পবিত্র ইদ-উল-আজাহা (কোরবানির ইদ)-র আগে তালিব বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং বিশ্বকে আশ্বস্ত করে বলছি, আমরা কাউকে আমাদের মাটি ব্যবহার করে অন্য দেশের নিরাপত্তার সঙ্কট তৈরি করতে দেব না। আমরা অন্য দেশকেও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য বার্তা দিচ্ছি।’’
আখুন্দজাদা সরাসরি ভারতের নাম করেননি। তবুও মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ, মোল্লা মহম্মদ ওমরের জমানা থেকে একাধিক বার কাশ্মীরে সক্রিয় পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে তালিবান। ১৯৯৯ সালে ভারতীয় বিমান ছিনতাইকারী জঙ্গিদের কন্দহরে আশ্রয় দিয়েছিল তারা। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলেরও সমালোচনা করেছিল তালিবান।
গত বছর তালিবান বাহিনীর কাবুল দখলের অভিযানে লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো পড়া পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল। কাশ্মীরে ওই দুই সংগঠন বহু বছর ধরেই কাশ্মীরে নাশকতা চালাচ্ছে। কাবুলে তালিবানের ক্ষমতা দখলের পর রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞার কোপে থাকা ওই সংগঠনগুলি আফগানিস্তানে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তালিবান প্রধানের বুধবারের বক্তব্য নয়াদিল্লির পক্ষে ‘ইতিবাচক’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই ‘বার্তা’ দিয়েছিলেন তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ। স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘আফগানিস্তানের মাটিকে আর অন্য কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’ এ প্রসঙ্গে সরাসরি কাশ্মীর সমস্যা এবং ভারত-পাক সঙ্ঘাতের কথাও তুলেছিলেন তিনি। জবিউল্লা বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাশ্মীরের প্রতি আমাদের কোনও নজর নেই। আমরা এখন কারও সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি করতে চাই না।’’