Syria War

‘ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রস্তুত’, বাশার আল আসাদ দেশ ছাড়তেই সুর নরম সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

গত কয়েক দিনে সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করছেন বিদ্রোহীরা। রবিবার সকালেই রাজধানীতে ঢুকে পড়েন বিদ্রোহীরা। বিভিন্ন সরকারি ভবনের দখল নেওয়া শুরু করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১০
Share:

(বাঁ দিকে) সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ গাজ়ি জালালি এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ (ডান দিকে)। ছবি: রয়টর্স।

সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ঢুকে পড়েছেন সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এ হেন পরিস্থিতিতে দেশের রাশ বিদ্রোহীদের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত সিরিয়ার সরকার, এমন জানালেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ গাজ়ি জালালি। তবে তিনি চান, বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হোক!

Advertisement

গত কয়েক দিনে সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করছেন বিদ্রোহীরা। রবিবার সকালেই রাজধানীতে ঢুকে পড়েন বিদ্রোহীরা। বিভিন্ন সরকারি ভবনের দখল নেওয়া শুরু করেছেন। শনিবার রাত থেকেই দামাস্কাস ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তাদের আগ্রাসনের সামনে পিছু হটতে শুরু করে সিরিয়া সেনা। বিদ্রোহীদের দখলে দামাস্কাস আসতেই ‘বেপাত্তা’ প্রেসিডেন্ট আসাদ। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকেরা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বিমানে উঠেছেন। তবে গন্তব্য কোথায় সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনও খবর মেলেনি।

প্রেসিডেন্ট দেশছাড়া, রাজধানীর বুকে দাপাচ্ছেন বিদ্রোহীরা— এমন অবস্থায় ‘যুদ্ধে’ না জড়িয়ে ‘আত্মসমর্পণে’র পথই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী জালালি। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, তিনি একটি ভিডিয়োবার্তা প্রকাশ করে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার বাড়িতেই আছি। আমি কোথাও পালাইনি। কারণ এটা আমার দেশ।’’ জালালি আরও জানান, রোজকার মতো সকালে তিনি নিজের অফিসে যাবেন। কাজকর্ম সারবেন। পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি নষ্ট না করার আহ্বানও জানিয়েছেন জালালি।

Advertisement

সিরিয়ার বিদ্রোহী দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী আগ্রাসনে পিছু হটেছে আসাদের সরকার। রবিবার সকালে রাজধানীও বিদ্রোহীদের দখলে। সিরিয়ায় গত ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিয়েছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আইএসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে নেটো বাহিনীও হামলা চালিয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement