মৃত্যু নিয়ে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে জনসমক্ষে এসে দাঁড়ালেন তালিবানের অন্যতম প্রধান মুখ হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা। শনিবার কন্দহর শহরে একটি ধর্মীয় স্কুলে হঠাৎ দেখা যায় তাঁকে। জামিয়া দারুল আলুম হাকিমিয়া নামে ওই স্কুল ঘুরে দেখেন আখুন্দজাদা। কন্দহরে এই সফরে তাঁর সঙ্গী ছিলেন আর এক তালিব শীর্ষনেতা। আখুন্দজাদার জনসমক্ষে আসার খবর তিনিই জানান একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে।
১৪ অগস্ট তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার আড়াই মাস পর এই প্রথম জনসমক্ষে এলেন আখুন্দজাদা। ইতিমধ্যে আখুন্দজাদাকে রাষ্ট্রপ্রধান পদে রেখে আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেছে তালিবান। তবে আখুন্দজাদা প্রকাশ্যে আসেননি। তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর বা ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ে গেলেও আসেনি তাঁর কোনও ভিডিয়ো বার্তাও। স্বাভাবিক ভাবেই তালিবান প্রধানের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। এমনকি তিনি আদৌ বেঁচে আছেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। রবিবার সেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কন্দহরে হাইবাতুল্লার সফরের কথা জানাল তালিবান।
যদিও এর আগে তালিবানেরই একটি সূত্র দাবি করেছিল, পাকিস্তান সেনার একটি আত্মঘাতী হামলায় হাইবাতুল্লার মৃত্যু হয়েছে। প্রবীণ তালিবান নেতা আমির আল মুমিনিন শেখ একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘‘পাক-বাহিনীর কষা ছকেই একটি আত্মঘাতী হামলায় গত বছর শহিদ হয়েছেন হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা।’’ কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বলছে, হাইবাতুল্লা বেঁচে আছেন। এবং বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কন্দহরে। যদিও আখুন্দজাদার কন্দহর সফরের কোনও ছবি বা ভিডিয়ো তাদের হাতে আসেনি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
গত অগস্ট মাসে তালিব বাহিনী কাবুল দখল করার পর থেকেই আখুন্দজাদাকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এমনও শোনা গিয়েছিল, পাক-বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কিছু সূত্র দাবি করেছিল, পাক-বাহিনীর হাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ বার সেই সব তত্ত্ব ফের প্রশ্নের মুখে।