আবার আসছেন তিনি।
ফিরছেন স্বমহিমায়।
তিনি কনকর্ড।
বছর চারেক পর প্রত্যাবর্তন ঘটছে বিপুলকায় যাত্রিবাহী বিমান কনকর্ডের। এক দল বিমানচালনায় উত্সাহী ব্রিটিশদের তত্পরতায় বছর চারেকের মধ্যে আবারও ট্র্যাকে ফিরতে চলেছে কনকর্ড। ক্লাব কনকর্ডের তত্ত্বাবধানে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে কনকর্ডের ফেরার সম্ভাবনা।
৭০’-এর দশকে প্রথম আকাশে ওড়ে কনকর্ড। ফ্রান্সের তুলুজ থেকে ওড়ে সেটি। একদা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং এয়ার ফ্রান্সের চোখের মণি ছিল এই বিশাল যাত্রিবাহী বিমান। শব্দের চেয়েও দু’গুণ জোরে চলত সে। কিন্তু হঠাত্ই ছন্দপতন। ২০০০ সালে ভেঙে পড়ে এয়ার ফ্রান্সের একটি যাত্রিবাহী কনকর্ড। ওড়ার কিছু ক্ষণ পরই প্যারিসে ভেঙে পড়ে নিউইয়র্কগামী বিমানটি। মৃত্যু হয় ১১৩ জনের। এই দুর্ঘটনার পরই ২০০৩ সালে তুলে নেওয়া হয় প্রত্যেকটি কনকর্ডকে।
এর পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক যুগ। কনকর্ড ফেরাতে উদ্যোগী হন এক দল উত্সাহী। কেউ বা তাঁরা প্রাক্তন বিমান চালক। কেউ বা আবার নিছকই কনকর্ডকে ভালবেসে এগিয়ে আসেন। একে একে জড়ো হন তাঁরা। এই ভাবেই পথ চলতে শুরু করে ‘ক্লাব কনকর্ড’। ক্লাবের সভাপতি পল জেমস জানিয়েছেন, “কনকর্ডকে ফেরানোর ক্ষেত্রে প্রধান বাধা ছিল অর্থ। কিন্তু আমরা অভিভুত এত মানুষের উত্সাহে। সংস্থার হাতে উঠে এসেছে প্রায় ১২ কোটি পাউন্ড।” এই অর্থ দিয়ে একটি বা দু’টি বিমান কেনা অথবা লিজ নেওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। এই প্রচেষ্টা সফল হলে ২০১৯ সালেই ফের উড়তে দেখা যাবে নজির সৃষ্টিকারী বিমানকে। ২০১৯ সালই আবার কনকর্ডের যাত্রা শুরুর গোল্ডেন জুবিলি। এ ছাড়াও লন্ডন আইয়ের কাছে টেমসের উপর দ্বিতল একটি প্লাটফর্মে কনকর্ডকে ডিসপ্লে করে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রায় ৪ কোটি পাউন্ড খরচ করা হবে এই প্রকল্পে। ভবিষ্যতে একটি কনকর্ড বিমানকে সারিয়ে চার্টার্ড বিমান হিসেবে ব্যবহার করারও পরিকল্পনা আছে উদ্যোগতাদের।