Threat Culture

‘হুমকি’ রুখতে নিষ্ক্রিয়, কল্যাণের তোপে তৃণাঙ্কুর

‘ডোমজুড় উৎসবে’ যোগ দিয়ে রবিবার কল্যাণের বক্তব্য, “দলের দেখা উচিত, কেন এঁরা টিএমসিপি-র সভাপতি হয়ে থাকবেন। কার আশীর্বাদ এঁদের মাথার উপরে আছে যে, এখনও এঁরা সভাপতি আছেন? সব পর্যালোচনা করার সময় এসেছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৫২
Share:

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) বেশ কিছু নেতাকে নানা অভিযোগে ‘বহিষ্কারের’ ঘটনাকে পাল্টা ‘হুমকি-প্রথা’ বলে সরব হলেন তৃণমূলের লোকসভার সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও তোপ, শাস্তির মুখে পড়া ওই পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াননি টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। কার আশীর্বাদ তৃণাঙ্কুরের মাথায় আছে, এই প্রশ্নও তুলেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।

Advertisement

‘ডোমজুড় উৎসবে’ যোগ দিয়ে রবিবার কল্যাণের বক্তব্য, “দলের দেখা উচিত, কেন এঁরা টিএমসিপি-র সভাপতি হয়ে থাকবেন। কার আশীর্বাদ এঁদের মাথার উপরে আছে যে, এখনও এঁরা সভাপতি আছেন? সব পর্যালোচনা করার সময় এসেছে।” ওই বহিষ্কৃত ও সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রদের পাশে তিনি ও দলের নেতা কুণাল ঘোষ রয়েছেন বলেও দাবি করেন কল্যাণ। তৃণাঙ্কুর অবশ্য বলেছেন, “আমি বক্তব্যটা (কল্যাণের) শুনিনি। না শুনে প্রতিক্রিয়া দেব না।”

পাশাপাশি, বাম-অতি বামের বিরুদ্ধে ‘হুমকি-প্রথার’ পাল্টা অভিযোগও ফের শোনা গিয়েছে কল্যাণের গলায়। তাঁর বক্তব্য, “টিএমসিপি-র কাউকে রাখব না। বাম-অতি বাম মিলে মেডিক্যাল কলেজ চালাব, আমাদের কথায় অধ্যক্ষ চলবেন— এটাই ‘থ্রেট কালচার’!” হুগলির উত্তরপাড়াতেও একটি অনুষ্ঠান থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের নিশানা করেছেন কল্যাণ। চিকিৎসকদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “ভাবল ১৪ দিন নাচ-গান করলে, রাস্তায় ছবি আঁকলে ১৪ তলায় উঠে (নবান্নে) সরকার গঠন করে দেবে।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী অবশ্য পাল্টা বলেছেন, “উপদেষ্টাদের দিয়ে সরকার চলছে। উনি (কল্যাণ) মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন, আপনি অযোগ্য। স্বাস্থ্য চালাতে পারছেন না। আমাকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা করে দিন!”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement