Sundar Pichai

আমার আমেরিকা আসার টিকিটের জন্য বাবার এক বছরের মাইনে লেগেছিল: সুন্দর পিচাই

পাশাপাশি নিজের জীবনের কিছু স্মরণীয় ঘটনার স্মৃতিও রোমন্থন করেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ১৮:২৯
Share:

গুগল সিইও সুন্দর পিচাই। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সম্প্রতি ইউটিউবে সম্প্রচারিত হওয়া ‘ডিয়ার ক্লাস ২০২০’ নামের এক অনুষ্ঠানে ছাত্রদের উদ্দেশে দিয়েছেন কিছু পরামর্শ। পাশাপাশি নিজের জীবনের কিছু স্মরণীয় ঘটনার স্মৃতিও রোমন্থন করেছেন।

Advertisement

সেখানে তিনি বলেছেন, প্রযুক্তির কিছু জিনিস বিরক্তির সৃষ্টি করলেও ধৈর্য হারালে চলবে না। ধৈর্যই নতুন উদ্ভাবনের পথ খুলে দেবে বলে মনে করেন গুগল সিইও। শিক্ষার প্রসার ও পরিবেশ নিয়ে এই প্রজন্মের কাজের প্রসঙ্গও সেই বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘পরিবেশের প্রতি আমাদের প্রজন্মের উদাসীনতা তোমাদের হতাশ করতে পারে। ধৈর্য ধরো। বিশ্বের দরকারে পরিবর্তন করতেই হবে।’’

পড়াশোনার জন্য নিজের আমেরিকা যাওয়া। সেই সময়ে তাঁর অনুভূতি, পারিবারিক কথা ভার্চুয়াল বক্তৃতায় জানিয়েছেন। ২৭ বছর আগে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে প্রথম বারের জন্য বিদেশে আসেন সুন্দর। সে বারই তাঁর প্রথম বিমানে চড়া। পিচাইয়ের বিমানে চড়ে আমেরিকা আসার জন্য খরচ হয়েছিল তাঁর বাবার প্রায় এক বছরের মাইনে। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘‘আমেরিকা ছিল ব্যয়বহুল। বাড়িতে ফোন করতে গেলে প্রতি মিনিটে দু’ডলারের বেশি খরচা হত। এখানে একটা ব্যাগের দাম আমার বাবার এক মাসের মাইনের সমান ছিল।’’ আমেরিকায় তাঁর জীবন ভাগ্য বদলায় নি। প্রযুক্তির প্রতি তীব্র ভালবাসা ও মুক্ত মনই তাঁকে সফল করেছে সে দেশে। ধৈর্য না হারিয়ে ছাত্রদের নিজেদের ভালবাসার জিনিসকে আঁকড়ে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন নিজের জীবনকে দেখেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: হাজারো মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ওয়াশিংটনে

সুন্দর পিচাই ২০০৪-এ যোগ দেন গুগলে। গুগল ক্রোম ও টুলবার তৈরিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে স্নাতকোত্তর কোর্স করতে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: জর্জ ফ্লয়েড কাণ্ডের জের, খোলনলচে বদলাচ্ছে মিনিয়াপোলিসের পুলিশ বিভাগ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement