সারাফিনা ন্যান্স
চার বছর আগের ব্যর্থতার কথা টুইটারে লিখেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন হাল ছেড়ে দেবেন। কিন্তু আজ তিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন।
বার্কলে-র ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়ার জ্যোতিপদার্থবিদ্যার গবেষক, ২৬ বছর বয়সি সারাফিনা ন্যান্সের এই টুইটটি ভাইরাল হয়ে যায় নিমেষে। এক দিনে ৫৭ হাজার লাইক, ১০ হাজারেরও বেশি রিটুইট। সারাফিনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন বিশ্বের নামজাদা প্রযুক্তিবিদ-বিজ্ঞানীরা, যাঁদের মধ্যে অন্যতম গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই।
সারাফিনা টুইট করেছিলেন, ‘‘চার বছর আগের কথা, কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যায় ০ পেয়েছিলাম। শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছিলাম, মনে হয় পদ্যার্থবিদ্যা ছেড়ে অন্য বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা উচিত। আজ আমি জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার একটি শীর্ষস্থানীয় পিএইচডি প্রোগ্রামের অংশ। দু’টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অঙ্ক সবারই কঠিন লাগে— পরীক্ষায় কত পেয়েছ, তা দিয়ে বলা যায় না তুমি সেই বিষয়ে ভাল নয়।’’ জবাবে পিচাই লিখেছেন, ‘‘দারুণ বলেছেন। অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতো।’’ সারাফিনা শুধু তাঁর এই লড়াইটুকুর কথাই লিখেছিলেন টুইটারে। পরে জানা গিয়েছে, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই যুদ্ধটাও জিতেছেন।