—প্রতীকী চিত্র।
আরব সাগরে একটি বাণিজ্যতরীর উপরে আচমকাই ড্রোন হামলা চলল আজ। এমভি চেম প্লুটো নামে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনও হতাহতের খবর নেই। জাহাজের ২২ জন কর্মীর মধ্যে ২১ জনই ভারতীয়, এক জন ভিয়েতনামের। সকলেই অক্ষত রয়েছেন। সমুদ্র বিষয়ক একটি সংস্থা জানিয়েছে, জাহাজটির সঙ্গে ইজ়রায়েলের যোগ রয়েছে। ফলে এই ড্রোন হামলার পিছনে কে বা কারা রয়েছে, তা নিয়ে রহস্য ঘনিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেউ হামলার দায় নেয়নি।
‘ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস’ ও সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক অন্য একটি সংস্থা ‘অম্ব্রে’ প্রথম হামলার খবর দেয়। গুরুগ্রামের ‘আইএফসি-আইওআর’ নামে একটি সংস্থাও আজ উদ্ধার ও সমন্বয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তাদের থেকে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পি-৮১ মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফ্ট (নজরদারি বিমান) পাঠায় ভারতীয় নৌবাহিনী। ব্রিটিশ সংস্থা দু’টি জানিয়েছে, ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ভাসমান জাহাজটিতে লাইবেরিয়ার পতাকা টাঙানো ছিল। রাসায়নিক নিয়ে যাচ্ছিল জাহাজটি। পতাকা লাইবেরিয়ার হলেও জাহাজটি ইজ়রায়েলের অনুমোদনপ্রাপ্ত। সৌদি আরব থেকে সেটি ভারতের মেঙ্গালুরু বন্দরে আসছিল। হামলার সময়ে জাহাজটি অবস্থান ছিল ভারতের ভেরাভালের দক্ষিণপশ্চিমে ২০০ নটিক্যাল মাইল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, হামলাকারীরা জানত জাহাজটি ইজ়রায়েলের। আচমকাই প্রকাণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে জাহাজে। আগুন ধরে যায়। তবে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তাই জাহাজের ক্ষতি হলেও কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।
ব্রিটিশ সংস্থা অম্ব্রে তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ‘‘জাহাজের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জল উঠে আসে জাহাজের উপরে।’’ ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর জাহাজ আইসিজিএস বিক্রম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীও একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে এমভি চেম প্লুটো-র কাছে। নিকটতম বন্দরে নিয়ে আসা হবে জাহাজটিকে।
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, হামলাকারীরা ইয়েমেনের হুথি জঙ্গি। ইজ়রায়েলের দিকে রওনা হওয়া বা সেখান থেকে আসা জাহাজগুলিকে নিশানা করছে তারা। গাজ়ার বদলা নিতেই সম্ভবত এই কাজ। লোহিত সাগরে হুথিরা প্রায়শই হামলা চালাচ্ছে। এ জন্য বহু জাহাজকে পথ বদলাতে হয়েছে। ‘আইএফসি-আইওআর’ জানিয়েছে, ১৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে লোহিত সাগরে এমন ৯টি ঘটনা ঘটেছে।