প্রতীকী ছবি।
২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের এক রাত। রুথ লাদার পোগু-র স্কুলে হানা দেয় বোকো হারাম জঙ্গিরা। তুলে নিয়ে যায় তাঁকে। তবে শুধু রুথ নন, অপহরণ করা হয়েছিল তাঁর কমপক্ষে ২৭০ জন সহপাঠীকেও। সকলের বয়সই তখন ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। নাইজিরিয়া তো বটেই, একসঙ্গে এত জন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছিল বিশ্ব জুড়ে। চিবক শহরতলির এই মেয়েদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ‘ব্রিং ব্যাক আওয়ার গার্লস’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াও। ঘটনার প্রায় সাত বছর পেরিয়ে সম্প্রতি ঘরে ফিরেছেন রুথ। এখন তিনি দুই সন্তানের মা।
এত বছর বাদে রুথের ফেরায় উচ্ছ্বসিত প্রশাসন। তারা জানায়, জঙ্গি ঘাঁটিতে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল রুথের। সম্ভবত সে জঙ্গি সংগঠনটিরই সদস্য। দিন দশেক আগেই স্বামী ও সন্তান-সহ সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন রুথ। বর্নো প্রদেশের গভর্নর বাবাগানা জ়ুলুম জানিয়েছেন, এতদিন খবরটি গোপন রাখা হয় কারণ রুথের পরিচয় নিশ্চিত করতে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। সন্দেহ মিটতেই যোগাযোগ করা হয় রুথের বাবা-মায়ের সঙ্গে। ফের মেয়ের মুখ দেখতে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তাঁরা।
প্রশাসনের মতে, জঙ্গিদের হাতে আটক বাকি মেয়েদের ফেরার আশা মজবুত করেছে রুথের প্রত্যাবর্তন। জ়ুলুম জানান, আপাতত সরকারি হাসপাতালে রুথের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রুথের সঙ্গে কমপক্ষে ২৭০ জন ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল বোকো হারাম। তবে মধ্যস্থতা করে তাঁদের মধ্যে ৮২ জনকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল প্রশাসন। আরও ২৪জনকে নয় নিজেরাই ছেড়ে দেয় জঙ্গিরা বা তাদের ‘খুঁজে পাওয়া যায়’। তবে এখনও জঙ্গিদের হাতে বন্দি কমপক্ষে ১১৩ জন।