জ্বালানি সঙ্কট শ্রীলঙ্কায়। ছবি: পিটিআই।
পেট্রলের জন্য হন্তদন্ত হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন এক ব্যক্তি। বাড়িতে যে তাঁর দু’দিনের সন্তানের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে! সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছতে না পারলে বড় অঘটন ঘটে যাবে। গাড়ি আছে বটে, কিন্তু তাতে পেট্রল নেই! হাসপাতালে সন্তানকে নিয়ে যাবেন কী ভাবে? তাই একটু পেট্রলের আশায় এ পাম্প-ও পাম্প ছুটে বেড়িয়েছেন।
তত ক্ষণে বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গিয়েছিল। ও দিকে বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা তাঁর আসার অপেক্ষায় ছিলেন। কখন পেট্রল নিয়ে আসবে, তার পর গাড়িতে করে সদ্যোজাতকে নিয়ে হাসপাতালে যাবে। কিন্তু না, সব জায়গা থেকেই হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। শেষে কোনও রকমে হাসপাতালে যখন পৌঁছলেন, তত ক্ষণে সব শেষ।
চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, একরত্তি শিশুটি আর বেঁচে নেই। চিকিৎসক শানাকা রোশন পাথিরানা জানিয়েছেন, সময় গড়িয়ে যাওয়ায় শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শিশুটির বাবা যদি সময় মতো এক লিটার পেট্রল পেতেন, তা হলে হয়তো সময় মতো শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারতেন। শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হত। এই পরিস্থিতির জন্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন ওই চিকিৎসক। ঘটনাটি শ্রীলঙ্কার। গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক, জ্বালানি এবং খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র।