ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। দেশে জ্বালানির হাহাকার শুরু হয়েছে। প্রতি দিন ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করানো হচ্ছে দেশে। তার প্রতিবাদেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীলঙ্কার মানুষ। ছবি - রয়টার্স
চিনের কাছে বিকিয়ে গিয়েই সর্বনাশ হয়েছে শ্রীলঙ্কার! ভারতের দক্ষিণের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রের আর্থিক সঙ্কট প্রসঙ্গে এ বার ঝাঁঝিয়ে উঠলেন সে দেশের খাবার ব্যবসায়ীরা। শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, এই সরকার শুধু চিনের কাছে যথাসর্বস্ব বিক্রিই করে দেয়নি, অন্যান্য দেশের থেকেও সব কিছু দেনায় কিনেছে। ফলে শ্রীলঙ্কা এখন ঋণে জর্জরিত। মানুষের হাতে টাকা নেই। এ দিকে বাজার অগ্নিমূল্য। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এ ভাবে চললে আর কিছু দিন পর না খেতে পেয়ে মরতে হবে দেশের মানুষকে।
শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি এবং বিদ্যুতের সঙ্কটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে রাজনৈতিক সঙ্কট। সোমবারই দেশের মন্ত্রিসভার সমস্ত মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের অপসারণের দাবি জোরালো হয়েছে। নতুন সরকার তৈরির ভিতও বেশ দুর্বল। এর মধ্যেই দাম বাড়তে শুরু করেছে সাধারণ শাক-সবজি, ফলের। জ্বালানির কারণে তো বটেই। তার পাশাপাশি রয়েছে যোগানের অভাবও। কলম্বোয় আপেল বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকা প্রতি কেজিতে। ন্যাসপাতির দাম ৭০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে কেজিতে ১৫০০ টাকা।
বিক্রেতাদের অভিযোগ, এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তাদের হাতে কোনও টাকা নেই। চিনকে সর্বস্ব বিক্রি করে দিয়ে এই সরকার এখন নিঃস্ব। অন্য দেশের কাছ থেকেও ধারে কিনতে হচ্ছে সব কিছু। ব্যবসা তো চলছেই না, মানুষের হাতের টাকাও ফুরিয়ে আসছে ক্রমশ।
ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। দেশে জ্বালানির হাহাকার শুরু হয়েছে। পরিবহণ প্রায় বন্ধ। বিদ্যুৎ বাঁচাতে প্রতি দিন ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করানো হচ্ছে দেশে। তার প্রতিবাদেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীলঙ্কার মানুষ। রাস্তায় নেমে শুরু হয় নাগাড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে ১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। মঙ্গলবার রাতে অবশ্য ওই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা করা হয়েছে।