মিনেসোতা থেকে রিয়ো, লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছিল ‘ব্লু’। সেখানে তার অপেক্ষায় ছিল ‘জুয়েল’। স্পিক্স’স ম্যাকাও প্রজাতির শেষ জীবিত পুরুষ ‘ব্লু’। আর ‘জুয়েল’ শেষ মহিলা। দু’জনে প্রেমে পড়ে। বংশরক্ষা হয়। অ্যানিমেটেড ছবি ‘রিয়ো’-র শেষ এখানেই। কিন্তু বাস্তবে, বড্ড দেরি করে ফেলল ‘ব্লু’। শেষরক্ষা হল না।
‘বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল’-এর গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক বছরে বেশ কিছু প্রজাতির পাখি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে পৃথিবী থেকে। দুঃখের খবর, এর মধ্যে রয়েছে স্পিক্স’স ম্যাকাও-ও। বিজ্ঞানীদের কল্যাণে এই প্রজাতির কয়েকটি ম্যাকাও অবশ্য এখনও বেঁচে রয়েছে। তবে গবেষণাগারের খাঁচায়।
প্রকৃতিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক শতকে অসংখ্য প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ছোট ছোট দ্বীপগুলোয়। এই তালিকায় গবেষকরা আলাদা করে উল্লেখ করেছে আটটি প্রজাতির নাম। যার মধ্যে পাঁচটিই দক্ষিণ আমেরিকার। এর জন্যে বনজঙ্গল কেটে ফেলাকেই দায়ী করছেন গবেষকরা। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এবং কংক্রিটের জঙ্গলের বাড়বৃদ্ধির সঙ্গে যুঝতে গিয়ে কোনও কোনও প্রাণী নিজেদের মধ্যে বদল ঘটাচ্ছে। যারা তা পারছে না, হার মানতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
‘বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল’-এর গবেষণায় আরও তিনটি প্রজাতির পাখির কথা বলা হয়েছে। ‘ক্রিপটিক ট্রিহান্টার’, ‘আলাগোয়াস ফোলিয়েজ-গ্লিনার’ এবং ‘পু-উলি’। স্পিক্স’স ম্যাকাওয়ের মতো এরাও এখন বিলুপ্ত। নীলরঙা ম্যাকাওকে চেনাতে বেঁচে থাকবে শুধু ‘ব্লু’।