Muhammad Yunus

ইউনূসদের দুর্বল করার চেষ্টা চলছে

১৫ অগস্ট নিয়েও চাপা অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। প্রতি বছরই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস স্বাধীনতা দিবস পালন করে। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ নেই। চলছে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ০৯:৩৮
Share:

মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।

অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিলেও, ভিতরে ভিতরে সেই সরকারকে কমজোর করার চক্রান্ত চলছে বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে আদৌ বন্ধ হয়নি ভারত-বিরোধী কুৎসা, বরং তা কৌশলে বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানানো হচ্ছে।

Advertisement

অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের ষড়যন্ত্র। বিদেশে বসেও এই বিষয়ে ইন্ধন দিচ্ছেন বিএনপি-র নেতারা। জার্মানিতে বিএনপির মুখপাত্র এবং ফ্রান্স থেকে সমাজমাধ্যমে অতিসক্রিয় এক ব্যক্তি ভারত-বিরোধিতার জিগির তুলছেন বাংলাদেশে। সূত্রের বক্তব্য, বাংলাদেশে এই কাজে নেমেছে মৌলবাদীদের মুখপত্র বলে পরিচিত ‘ইনকিলাব’। নতুন সরকারকে কৌশলে বিপাকে ফেলতে শুরু হয়েছে ভারত-বিরোধী প্রচার। কারণ, ভারতীয় পণ্য না এলে বাংলাদেশে জিনিষের দাম নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে অসম্ভব। তৈরি হবে নৈরাজ্য। দুর্বল হয়ে পড়বে ইউনূস সরকার। মানুষকে ফের ক্ষেপিয়ে তোলা সম্ভব হবে। ঘুরপথে জামায়াতে বিএনপি-র সঙ্গে শাসন কায়েম করার রাস্তা প্রশস্ত হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা যাতে কমে সেই চেষ্টাই করছে জামায়াতে ও বিএনপির নেতারা। বাংলাদেশে যে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা হচ্ছে, তা সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সোমবারও স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ২ লক্ষ পুলিশ কর্মী কর্মবিরতি পালন করায় সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি সেনা। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফেও বারবার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে।

১৫ অগস্ট নিয়েও চাপা অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। প্রতি বছরই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস স্বাধীনতা দিবস পালন করে। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ নেই। চলছে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। আবার এই দিনই নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই দিন জাতীয় শোক দিবস পালন করে আওয়ামী লীগ। এ বারেও সেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে মোমহাতি জ্বালিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান অনেকে। এই বাড়িতেই ভাঙচুর চালানো হয়েছিল, আগুনও দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। সেই ঘটনাকে ধিক্কার জানানো হয়। এখন এই বিশেষ দিনটিকে ঘিরে জামায়াতের তরফ থেকে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি করা হবে কি না, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement