মেট্রো স্টেশনের সিঁড়ি বা লিফটের একেবারে কাছেই নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়ি রাখতে পারবেন যাত্রীরা। বাস, ট্যাক্সি, অটোয় চড়া যাত্রীরাও স্টেশনের কাছে নামতে পারবেন। যাত্রী সাধারণের স্বাচ্ছন্দ্যে এমন বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে ঢাকা মেট্রোয়।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, ঢাকা মেট্রোর চারটি স্টেশনে এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তৈরি করা হবে ‘স্টেশন প্লাজা’।
ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ‘ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড’ (ডিএমটিসিএল)। ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরা, আগারগাঁও, ফার্মগেট, কমলাপুর স্টেশনে এই প্লাজা তৈরি করা হবে।
‘স্টেশন প্লাজা’ ব্যবস্থায় যাত্রী সাধারণের কথা ভেবে মেট্রো স্টেশনে খাবারও পাওয়া যাবে।
উত্তরা ও কমলাপুর স্টেশনে দীর্ঘ সময়ের জন্য যাত্রীরা নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়ি পার্ক করার সুযোগ পাবেন। এ জন্য অবশ্য নির্ধারিত হারে যাত্রীদের টাকা দিতে হবে।
উত্তরা ও কমলাপুরের মাঝপথে আগারগাঁও ও ফার্মগেটেও দু’টি স্টেশন প্লাজা তৈরি করা হবে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মোট ১৭টি স্টেশন থাকবে।
মেট্রোর প্রতিটি স্টেশনে ওঠা-নামার জন্য তিন ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। লিফট, চলমান সিঁড়ি ও সিঁড়ি।
ডিএমটিসিএল সূত্রে খবর, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ন’টি স্টেশনে লিফট ও চলমান সিঁড়ির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আটটি স্টেশনের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। ওই স্টেশনগুলিতে কোথায় সিঁড়ি তৈরি করা হবে, সে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
২০১২ সালে মেট্রোরেল প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। ২০২৪ সালের জুনে মেট্রোরেল প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রথম দিকে মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। পরে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় ডিএমটিসিএল। অনুমোদন পেলে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়াবে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
ইতিমধ্যেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৩.৮৬ শতাংশ। ওই পথে বর্তমানে পরীক্ষামূলক ভাবে মেট্রো চলছে।
জাপান থেকে মেট্রোর রেক ঢাকায় আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৫টি ট্রেন আনা হয়েছে। আরও ন’টি ট্রেনের আসার কথা।
মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য চালক, স্টেশন নিয়ন্ত্রক-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ হয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, মেট্রোরেলের চালকের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। স্টেশন নিয়ন্ত্রণ পদেও রয়েছেন এক মহিলা।