রেললাইনের দু’পাশে দাবানলে আটকে গিয়েছে ট্রেন। ছবি সৌজন্য টুইটার।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে ফেরলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল যাত্রিবাহী ট্রেনটি। কয়েক কিলোমিটার এগোতেই জানলা দিয়ে আগুনের শিখা চোখে পড়েছিল যাত্রীদের। বিষয়টি ঠাওর করার আগেই তত ক্ষণে সেই আগুনের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিল ট্রেনটি। তত ক্ষণে যাত্রীরা বুঝে গিয়েছিলেন যে ওই আগুনের শিখা আসলে কী!
বিপদ আঁচ করে চালক ট্রেনের গতি কমিয়ে দিয়েছিলেন। রেললাইনের দু’পাশ ধরে তখন আগুনের লেলিহান শিখা গিলে খাওয়ার জন্য ক্রমশ এগিয়ে আসছিল। ওই ট্রেনেরই যাত্রী সিওন পেরেজ এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আগুন দেখে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন চালক। তত ক্ষণে ট্রেনের ভিতরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে বলছিলেন, আরে! ট্রেনটিকে থামালেন কেন চালক? কী করতে চাইছেন উনি?”
পেরেজ জানান, ট্রেনটি যখন থেমেছিল, বেশ কয়েক ফুট দূরত্বে ছিল আগুন। কিন্তু চোখের নিমেষে সামনের গাছপালাকে পুড়িয়ে ছারখার করতে করতে ট্রেনের একদম কাছে চলে এসেছিল। তিনি বলেন, “ট্রেনের ভিতর থেকে এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল আমাদের ট্রেনটিকেও গিলে ফেলবে আগুনের লেলিহান শিখা। মুহূর্তে চারপাশটায় যেন রাত নেমে এসেছিল। শুধু তাই-ই নয়, ধোঁয়ার গন্ধও নাকে আসছিল।”আগুন গিলে ফেলার আগেই যাত্রীদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ট্রেনটিকে দ্রুত গতিতে ছুটিয়ে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যান চালক।
গত কয়েক দিন ধরে স্পেন-সহ দক্ষিণ ইউরোপের বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। স্পেনে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এক দিকে প্রবল গরম, অন্য দিকে, এই গরমের জেরে দাবানল— এই দুইয়ের কারণে নাজেহাল অবস্থা স্পেনের। দাবানলের কারণে ইতিমধ্যেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।