বাইরের দুনিয়া থেকে লুকনো একটা হাইটেক শহর। যে শহরে সুপারহিরোদের বাস। মার্ভেল কমিকস-এর সুপারহিরো ফিল্ম ব্ল্যাক প্যান্থারদের বাস এমনই এক শহরে।
শহরের নাম ছিল ওয়াকান্ডা। যা সুপারহিরো ব্ল্যাক প্যান্থারের শহর। পূর্ব আফ্রিকায় তানজানিয়ার উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি। ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ছাড়াও ‘ফ্যানটাসটিক ফোর’, ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ ফিল্মেও এই শহরের উল্লেখ রয়েছে।
এই শহরের প্রযুক্তির কাছে সারা বিশ্ব হার মেনেছিল। এ বার এমনই এক হাইটেক শহর বাস্তবেও তৈরি হতে চলেছে আফ্রিকায়!
তবে যতটা উন্নত প্রযুক্তি ফিল্মের ওয়াকান্ডায় দেখানো হয়েছে, ততটা অবশ্যই বাস্তবের ওয়াকান্ডায় দেখা যাবে না। বাস্তবের ওয়াকান্ডার অবস্থান কোথায় হতে চলেছে?
সেনেগালের রাজধানী দাকারের একেবারে পাশেই তৈরি হতে চলেছে এই শহর। সেনেগালের নিউ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের দূরত্বে।
সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল মার্কিন পপ-সিঙ্গার অ্যাকনকে শহরের জন্য দু’হাজার একর জমি দিয়েছেন। পপ গায়ক অ্যাকনই এই শহরটি তৈরি করতে চলেছেন। তাঁর নামানুসারে এই শহরের নাম রাখা হবে অ্যাকন সিটি।
৪৬ বছরের এই গায়কের জন্ম আমেরিকাতে হলেও তাঁর পূর্বপুরুষ সেনেগালের বাসিন্দা। নিজের জীবনের ছেলেবেলাটাও সেনেগালেই কেটেছে তাঁর। নিজের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অ্যাকনের এই উপহার।
এই শহরের পুরোটাই হবে ডিজিটাল। এমনকি নগদ টাকায় কোনও লেনদেন হবে না। সব কিছুতেই চলবে অ্যাকনের নামাঙ্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সি-অ্যাকয়েন।
শহরটাকে এমন ভাবেই তৈরি করা হবে, যাতে সমস্ত সুবিধাই শহরের মানুষ পেয়ে থাকেন। এই শহরে আবাসন, পার্ক, স্টেডিয়াম, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এবং আলো উত্পাদনকারী সোলার ইউনিট থেকে শুরু করে প্রায় সবই থাকবে।
সম্প্রতি হাইটেক শহর বানানোর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তার পরই টুইট করে ‘বাস্তবের ওয়াকান্ডা’ বানানোর কথা জানিয়েছেন গায়ক নিজেই।
মার্কিন এই পপ তারকা কাজ করেছেন বলিউডেও। শাহরুখ খানের গলায় ‘রা ওয়ান’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘ছম্মক ছল্লো’ প্রবল জনপ্রিয় হয়।
আগামী ১০ বছরের মধ্যেই আফ্রিকার মানুষদের এই শহর উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।