শিখ ছাত্রকে হেনস্থা। ছবি: টুইটার
আমেরিকায় কৃপাণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক শিখ ছাত্র। গ্রেফতারের আগে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগও উঠেছে নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ওই ছাত্র।
আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। টুইটারে ভিডিয়ো পোস্ট করে ওই ছাত্র লিখেছেন, ‘এটা আমি পোস্ট করতে চাইছিলাম না। কিন্তু আমার মনে হয় না আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউকে পাশে পাব। আমাকে বলা হয়, কেউ এক জন ৯১১-তে ফোন করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ওরা আমার কৃপাণ খুলে নিতে চাইলে আমি বাধা দিই। তাই আমাকে গ্রেফতার করা হয়।’
ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, শিখ যুবককে সোফার উপর বসানো হয়েছে। তাঁর পোশাক খোলা। গলা থেকে ঝুলছে কৃপাণ। সেটি খুলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন এক পুলিশকর্মী। যুবক তাতে বাধা দিচ্ছেন। তার পর তাঁকে দাঁড় করিয়ে হাতকড়া পরিয়ে দেওয়া হয়।
এই ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। পুলিশের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রতিবাদ ভেসে এসেছে দূর-দূরান্ত থেকে। কেউ বলেছেন, কোনও ঘৃণাসূচক বা হিংসাত্মক কাজ না করা সত্ত্বেও যুবককে গ্রেফতার করা হল। অথচ, আমেরিকায় আইনসম্মত ভাবে অনেকেই পিস্তল নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁদের কিছু বলা হয় না।’
অন্য এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘ওই পুলিশ অফিসারের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। শিখরা ধর্মীয় জিনিস সব সময় সঙ্গে রাখতে পারেন, এই তথ্য তাঁর জানা নেই।’ এ ছাড়া, এই ভিডিয়ো দেখার পর যে কোনও ধর্মের ন্যূনতম নিয়ম-কানুন সকলের জেনে রাখা উচিত বলেও দাবি উঠেছে।
কৃপাণ বা তরবারি শিখ ধর্মাবলম্বীদের রোজকার যাপনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু তা নিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে এর আগেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে শিখদের। যুবকের কৃপাণ এ ভাবে খুলে নিতে চাওয়া মানতেই পারছেন না অনেকে। আমেরিকার ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি উঠেছে।