বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আব্দুল হামিদের সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বৃহস্পতিবার ঢাকায়। নিজস্ব চিত্র
লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে ‘অনুন্নত’ তকমা ছেড়ে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এই কথা জানিয়ে বলেন, “আমরা সেটি অর্জন করেছি। এখন লক্ষ্য ২০৪১-এর মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের তালিকায় পৌঁছে দেওয়া। আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ব।” অতিমারি কোভিড সেই এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করলেও সরকার অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
এ দিন সারা দেশে উৎসবের মেজাজে পালন হয় বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী। সকাল সাতটায় প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আব্দুল হামিদ সাভারে জাতীয় শহিদ মিনারে ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করেন। হাসিনা ও হামিদ ফিরে যাওয়ার পরে প্রথমে নানা সংগঠনের তরফে এবং তার পরে হাজার হাজার মানুষ ফুল দিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান। বিশাল মাপের পতাকা নিয়ে এসেছিলেন অনেকে। সকাল থেকেই যশোর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহিতে নানা সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসের ৫০ বছর পালন করেন।
বিকেলে ঢাকায় প্রধান অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে অংশ নেন সেনারা। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমার মনে আছে, এক জন তরুণ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সাহসে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। তাঁর বজ্রকণ্ঠ লাখো মানুষের মতো আমার মধ্যেও বিদ্যুৎ সঞ্চারিত করেছিল। আমি উপলব্ধি করেছিলাম, তাঁর বক্তৃতায় ছিল সেই সময়ের বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাঁর বক্তৃতায় শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার লড়াইয়ের দিনগুলির উল্লেখ করেন। স্পিকার শিরিন শরমিন চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন, শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের পথে সফর শুরু করেছে, তাকে গতিশীল করে এই পথচলা চালিয়ে যাবে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বিকেল ৪টে নাগাদ বোন রেহানাকে নিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। এ দিন সকালে তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশবাসীকে উন্নয়নের শপথবাক্য পাঠ করান।