পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।
সন্ত্রাসের অর্থ জোগানের উপরে নজরদারির আন্তর্জাতিক সংস্থা এফএটিএফের বার্ষিক সম্মেলন এপ্রিলে। প্যারিসে ওই সম্মেলনে তাদের যাতে কালো তালিকায় তোলা না-হয়, তার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। চলতি সপ্তাহে বেজিংয়ে ওই সংস্থার পর্যালোচনা বৈঠক রয়েছে। তার এক সপ্তাহ আগে থেকেই আমেরিকায় গিয়ে দরবার করছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। শুক্রবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, ‘‘বেজিংয়ের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ধূসর তালিকায় পাকিস্তানকে রাখা, না-রাখা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে এপ্রিলে।’’
অতীতে ইরান, উত্তর কোরিয়াকে কালো তালিকায় ফেলেছে এই সংস্থা। পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় ফেলা হয় ২০১৮-র জুন মাসের বৈঠকে। ধূসর তালিকায় রয়ে গেলে, ভবিষ্যতে আইএমএফ, রাষ্ট্রপুঞ্জ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা কমবে। এফএটিএফ গত অক্টোবরের প্যারিস অধিবেশনেই স্পষ্ট জানিয়েছিল, পাকিস্তানকে চার মাসে দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য বন্ধ করতে হবে। ২০২০-র ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা না-পারলে, নাম উঠবে কালো তালিকায়। সেই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন, এমন এক ভারতীয় প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের নাম কালো তালিকায় ওঠার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
কারণ, এফএটিএফের ২৭টি শর্তের মধ্যে মাত্র ৫টি পূরণ করেছে ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে কুরেশি তালিবান ও ইরান তাসে আমেরিকাকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। পাকিস্তানের আশ্বাস, আফগানিস্তানে তালিবানের সঙ্গে দর কষাকষিতে তারা অগ্রণী ভূমিকা নেবে। সঙ্গে ইরানেরও মোকাবিলা করবে। মার্কিন নেতৃত্বের কাছে আরও দু’টি বিষয়ে আর্জি জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী। এক, পাকিস্তানের রফতানি এবং বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শক্তিশালী করার জন্য সাহায্য
করা। দুই, পর্যটন শিল্পে আমেরিকার আরও বিনিয়োগ।