অভিবাদন: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। হিউস্টনে। ছবি: পিটিআই
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন করলেন প্রবাসী কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের একাংশ। অন্য দিকে ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানের সময়ে হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বালুচ, সিন্ধি ও পাঠান আন্দোলনকারীদের একাংশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাহায্য চাইবেন তাঁরা।
আজ হিউস্টনে মোদীর সঙ্গে দেখা করেন ‘গ্লোবাল কাশ্মীরি পণ্ডিত ডায়াসপোরা’ সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল। প্রধানমন্ত্রী ওই প্রতিনিধিদের বলেন, ‘‘কাশ্মীরে নতুন হাওয়া বইছে।’’ ওই প্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা বিশেষ মর্যাদা লোপের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন করেন। পরে শিখ ও বোহরা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেন মোদী। গত সপ্তাহে প্রবাসী শিখ সম্প্রদায়ের ৩১২ জনের নাম ‘কালো তালিকা’ থেকে সরিয়েছে কেন্দ্র। ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জন্য ওই তালিকায় নাম ছিল তাঁদের। এই পদক্ষেপের জন্য মোদীকে ধন্যবাদ জানান শিখ প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি শিখ সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের পাসপোর্ট ও ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে আর্জি জানান তাঁরা। সেই সঙ্গে ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গার মামলায় কয়েক জন অভিযুক্তের বিচারের ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন শিখ প্রতিনিধিরা।
অন্য দিকে, এ দিন হিউস্টনে এসেছে বালুচ, সিন্ধি ও পাঠান বংশোদ্ভূত মার্কিনদের বেশ কয়েকটি দল। বালুচ নেতা নবী বক্স বালোচের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি চাই আমরা। পাক সরকার বালুচিস্তান-সহ নানা এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।’’ ওই বালুচ নেতার দাবি, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যে ভাবে ভারত সাহায্য করেছিল সে ভাবেই তাঁদের সাহায্য করা উচিত।
প্রায় একই সুরে সিন্ধি নেতা জাফর সাহিটোর বক্তব্য, ‘‘এখানে বিশ্বের দুই বৃহৎ গণতন্ত্রের নেতা আসবেন। আমরা তাঁদের সাহায্য চাই।’’