কিউরিয়োসিটি রোভারের তোলা এই ছবিই প্রকাশ করেছে নাসা।
মঙ্গল গ্রহে গবেষণার জন্য কিউরিয়োসিটি রোভার পাঠিয়েছিল আমেরিকার মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা নাসা। সেই কিউরোয়োসিটি রোভারের হাত ধরেই সামনে এল এক চমকপ্রদ তথ্য। লাল গ্রহে মিলেছে জলের অস্তিত্ব!
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলের মার্টিয়ান পাহাড়ের পাদদেশে এক সময়ে ছিল একটি ক্ষুদ্র জলাশয়! তার তথ্যপ্রমাণও সামনে এনেছে কিউরিয়োসিটি রোভার। সেই জল শুকিয়ে গেলেও ঢেউয়ের ছাপ রয়ে গিয়েছে লাল গ্রহের মাটিতে। সেই ছবিও প্রকাশ করেছে নাসা। ওই জলাশয়ের নিম্নভাগে জমে যাওয়া পলি থেকেই সৃষ্টি হয়েছে পাথরের উপরে ঢেউয়ের বিন্যাস।
মঙ্গল গ্রহে জলের অস্তিত্ব নিয়ে এতদিন সংশয় ছিল বিজ্ঞানীদের মধ্যে। কিন্তু নাসার নয়া আবিষ্কার যে শুধু চিরাচরিত সেই সংশয় দূর করেছে তা-ই নয়, মোড় ঘুরে গিয়েছে মঙ্গল সংক্রান্ত গবেষণাতেও। বহু বছর আগের ওই জলাশয়ে মিলেছে গ্র্যানিটের চিহ্নও।
কিউরিয়োসিটির গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানী অশ্বিন বাসবড়া জানিয়েছেন, গোটা অভিযানে এটাই জল ও ঢেউয়ের সব চেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ।
এর আগেও ওই অঞ্চলে কিউরিয়োসিটি রোভার পৌঁছলেও তখন জলের কোনও চিহ্ন মেলেনি। শুষ্ক পরিবেশে পাথরের স্তরে ঢাকা পড়েছিল জলের চিহ্ন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, ওই জলে সালফেটের অস্তিত্ব ছিল। পরে ধীর ধীরে জল বাষ্পীভূত হয়ে গেলে সেখানে নুনের স্তর তৈরি হয়।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ওখানকার মাটিতে এক নতুন পাথুরে বিন্যাস মিলেছে। যার থেকে মনে করা হচ্ছে, জলবায়ু চক্রেরই ফলাফল অভিনব ওই বিন্যাস।