সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ইয়াঙ্গনের রাস্তায় প্রতিবাদীদের জমায়েত। মঙ্গলবার। রয়টার্স
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মায়ানমারে মহিলা ও শিশু মিলিয়ে মোট ১৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আজ জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সংস্থাটি জানিয়েছে, রবিবার এক দিনেই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ জন বিক্ষোভকারীর। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গত মাসে গণতন্ত্রকামীদের বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে যা সর্বাধিক। রাষ্ট্রপুঞ্জ এ-ও জানিয়েছে, মায়ানমারে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপরে হিংসার ঘটনা গত কয়েক সপ্তাহে অত্যন্ত বেড়েছে। সোমবারও দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। একটি মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, সোমবার মৃতদের অধিকাংশ বিক্ষোভকারী হলেও, এমন অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন, যাঁরা বিক্ষোভে অংশ নেননি। গত কাল ইয়াঙ্গনে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে বাড়ির ভিতরে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার।
এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তারা জানিয়েছে, দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের দাম মাত্রাছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে, কোনও কোনও জায়গায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। সাধারণ মানুষের প্রধান খাবার ভাত বা চালের দাম বিভিন্ন বাজারে ৩ শতাংশ বেড়েছে।
এ দিকে, গত মাসে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে ৩৮৩ জন মিজোরামে ঢুকে পড়েছে বলে দাবি সরকারের। অনুপ্রবেশকারীদের ৯৮ শতাংশই দাবি করেছেন, তাঁরা হয় পুলিশ, না হয় দমকলবাহিনীর সদস্য। তবে এর সমর্থনে কোনও তথ্যপ্রমাণ দেখাতে পারেননি। মূলত সীমান্ত সংলগ্ন ৬টি গ্রামে অনুপ্রবেশের মাত্রা বেড়েছে। রাজ্য সরকার ও অসম রাইফেলস অনু্প্রবেশ রোখার সব রকম চেষ্টা করলেও যাঁরা ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছেন, তাঁদের মানবিক কারণে ফিরিয়ে দিতে পারছে না সরকার।