ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানে গেলেও ‘দ্বিপাক্ষিক বৈঠক’ হবে না, স্পষ্ট জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই মন্তব্য করার তিন দিন পর তার জবাব এল পাকিস্তানের তরফে। ‘দ্বিপাক্ষিক বৈঠক’ নিয়ে জয়শঙ্করের মন্তব্য তাঁর সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত, বললেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও)-এর সদস্য দেশগুলির বৈঠকে যোগ দিতে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। দীর্ঘ ন’বছর পর ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানে যাচ্ছেন। এর আগে ২০১৫ সালে শেষ বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। জয়শঙ্করের পাক সফর নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল কূটনৈতিক মহলে। দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতিতে এই সফর কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু গত শনিবার সেই সব জল্পনার অবসান ঘটান খোদ জয়শঙ্করই।
জয়শঙ্কর স্পষ্ট করেন, “এই বৈঠক নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলির বেশ কৌতূহল রয়েছে। হয়তো দুই দেশের সম্পর্ক যে পর্যায়ে রয়েছে, সেই কারণে এই কৌতূহল। কিন্তু আমি স্পষ্ট করতে চাই, এটি একটি বহুপাক্ষিক আলোচনার মঞ্চ। আমি কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যোগ দিতে যাচ্ছি না। সেখানে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে কোনও আলোচনা করতে যাচ্ছি না। এসসিও-র একজন সদস্য হিসাবে আমি সেখানে যাচ্ছি।”
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তার অবসান ঘটিয়ে দেন জয়শঙ্কর। সে নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ় জ়াহরা বালোচ বলেন, ‘‘ওই মন্তব্য ওঁর (জয়শঙ্কর) নিজস্ব উপলব্ধি।’’ উল্লেখ্য, আগামী ১৫-১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এসসিও সদস্য রাষ্ট্রগুলির বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে ভারত সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নন, বিদেশমন্ত্রী এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদ যাবেন।