ইস্ট এশিয়া সম্মেলনের ফাঁকে আমেরিকান বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার ভিয়েনতিয়ানে। ছবি: পিটিআই।
দক্ষিণ চিন সাগরে নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বাস্তবসম্মত ও কার্যকর আচরণবিধি তৈরির ব্যাপারে জোর দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভিয়েনতিয়ানে ‘ইস্ট এশিয়া সামিট’-এ আজ তাঁর বক্তব্য, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। আজ ভারত ও লাওস যৌথ ভাবে দু’টি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। যার একটিতে রয়েছে অযোধ্যার রামলালার এবং অন্যটিতে লুয়াং প্রাবাংয়ের বুদ্ধমূর্তির প্রতিকৃতি। ডাকটিকিটে রামলালা মূর্তির প্রতিকৃতি প্রকাশ এই প্রথম।
আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের ৩১তম বৈঠক ও ১৪তম ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগ দিতে জয়শঙ্কর এসেছেন ভিয়েনতিয়ানে। ইস্ট এশিয়া সামিটে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে তিনি দক্ষিণ চিন সাগর দিয়ে যাওয়া নৌপথগুলির জন্য আদর্শ আচরণবিধি তৈরির কথা বলে আজ বার্তা দিয়েছেন, “এই বিধি আন্তর্জাতিক আইন মেনে ও বৈঠকের অংশ-নয় এমন দেশগুলির স্বার্থ এবং ন্যায্য অধিকার খর্ব না করে তৈরি করা দরকার।” বৈঠকে যোগ দিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই রয়েছেন ভিয়েনতিয়ানে। কূটনৈতিক মহলের মত, সেই সূত্রে জয়শঙ্করের এই বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
উত্তর-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নৌ-যোগাযোগের ক্ষেত্রে দক্ষিণ চিন সাগরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই সাগরের অধিকাংশই নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স এবং তাইওয়ানেরও নিজস্ব দাবি আছে ওই সামুদ্রিক অঞ্চলে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি দক্ষিণ চিন সাগরে দ্বৈরথ এড়াতে চিনের সঙ্গে সর্বসম্মত ভাবে আচরণবিধি তৈরি করতে চায়।
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জলযান আক্রান্ত হচ্ছে বলে আজকের বৈঠকে জয়শঙ্কর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারত স্বাধীন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে আজ জয়শঙ্করের একটি বৈঠক হয়েছে। কথা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী লাওসের বিশিষ্ট কয়েক জনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন আজ।