রুশ সেনার বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগ। —ফাইল ছবি
ইউক্রেনে রুশ সেনার অত্যাচারের আরও এক অভিযোগ প্রকাশ্যে। স্বামী, সন্তানের সামনেই ২২ বছরের তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রুশবাহিনীর ২ সেনার বিরুদ্ধে। গত মার্চ মাসে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের একটি বাড়িতে হামলা চালান তাঁরা। পরিবারের তিন সদস্যের উপরেই পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, রেহাই পায়নি ৪ বছরের শিশুও।
রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্টে দাবি, ২ জন রুশ সেনা গত মার্চ মাসে কিভের একটি বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়েন। ওই বাড়ির তরুণী গৃহিনীর উপর তাঁরা পাশবিক যৌন নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ। বারংবার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তার পর ওই তরুণীকে তাঁর স্বামীর সঙ্গেও সঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দম্পতির ৪ বছরের শিশুর সামনে তাঁর মাকে ধর্ষণ করেন রুশ সেনারা। তার পর ওই শিশুকেও ধর্ষণ করা হয়।
ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের উপর রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নৃশংস অত্যাচারের কথা এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। দেশের একাধিক এলাকায় পাওয়া গিয়েছে গণকবর। কবরস্থ মৃতদেহে অত্যাচারের ছাপ ছিল সুস্পষ্ট। হত্যার আগে ইউক্রেনের বাসিন্দাদের উপর ‘অমানুষিক’ অত্যাচার করা হয়েছে বলে দাবি কিভের। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টেও উঠে এল নির্মমতার ছবি।
রিপোর্টে রুশ সেনার গণহত্যারও উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে, নিরীহ মানুষদের কোনও বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়াই নির্বিচারে হত্যা করেছে পুতিনের সেনা। কিভ, খারকিভ ও অন্যান্য প্রদেশে এই রুশ আগ্রাসন প্রকট। আগ্রাসনে মহিলা ও শিশুরাও নিস্তার পাননি। এ ছাড়া, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, কোনও মহিলাকে ধর্ষণের আগে তাঁর স্বামীকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। তাদের অত্যাচারের পর অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে।