রাশিয়ার অভিযোগ, পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী সমর্থিত অঞ্চল সেনায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি: টুইটার থেকে।
মাত্র একদিন আগে দুই রুশপন্থী অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুগানস্ককে স্বাধীন ঘোষণা করেছে রাশিয়া। আর মঙ্গলবার সেখানে সেনা পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা সেরে ফেললেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিরা দেশের বাইরে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তে সমর্থন করলেন প্রেসিডেন্টকে। ১৫৩ সেনেটরের সবাই প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত। ফলত, দুই রুশপন্থী সমর্থিত অঞ্চলে সেনা পাঠানো শুরু হলে যুদ্ধ স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েনের পরও রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক বারবার দাবি করে এসেছে যে, আপাতত পূর্ব ইউক্রেনে সেনা বাহিনী পাঠানোর ব্যাপারে কোনও পরিকল্পনা নেই। রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই প্রেক্ষিতে পুতিন ফেডারেশন কাউন্সিলরের কাছে দেশের বাইরে সেনা পাঠানোর ব্যাপারে অনুমতি চান। তাঁর যুক্তি, ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের সেনা বাবিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছে রুশপন্থীরা। তাদের রক্ষার্থে দুই রুশপন্থী অঞ্চলে সেনা বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব সমর্থন করা হোক।
সংসদের উচ্চ কক্ষের অনুমতি পাওয়ার পর এক বিবৃতিতে ডেপুটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিকোলে প্যানকভ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা থমকে গিয়েছে। ইউক্রেন নেতৃত্ব হিংসা ও রক্তপাতের পথ নিয়েছেন। তাই আমাদের হাতে আর কোনও বিকল্প নেই।’’ তাঁর অভিযোগ, পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী সমর্থিত অঞ্চল সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জামে মুড়ে দিয়েছে ইউক্রেন। তাই অন্য রাজ্যের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আগ্রাসন রুখতে রাশিয়া লড়াবেই।
অন্য দিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে ইউক্রেন থেকে ২৪০ ভারতীয় পড়ুয়াকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে দিল্লিতে। যুদ্ধের আবহে তাঁদের ইউক্রেন ছাড়তে বলা হয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে রাতেই ওই পড়ুয়াদের বরিস্পিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।