আবার অফলাইন পরীক্ষায় বসবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। ফাইল চিত্র।
২০২২ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে অফলাইনেই। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে আগের মতোই অন্য স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিজের স্কুলে দেবে পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, জেলা শাসক ও মহকুমা শাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া শুরু হবে। পর্ষদ জানিয়েছে, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প অফিস থেকে স্কুলগুলি অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে।
এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৭ মার্চ থেকে। পরীক্ষা শেষ হবে ১৬ মার্চ। আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ২ এপ্রিল। শেষ হবে ২০ এপ্রিল।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে এ বারও অফলাইন বা স্কুলে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। করোনার কারণে গত বছর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০১৯ সালের নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হয়। রেকর্ড গড়ে সেই প্রথম একশোয় একশো শতাংশ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পাস করে। ২০২১ সালে উচ্চমাধ্যমিকেও সব পরীক্ষার্থীকে কৃতকার্য ঘোষণা করা হয়। তবে ২০২২ সালে দু’বছর পর আবার স্কুলে বসে পরীক্ষা দেবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।
জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে। শেষ হবে বিকেল তিনটেয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে গণপরিবহণ বাড়ানোর জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়েছে পর্ষদ ও সংসদ। কোভিড বিধি মেনে পরীক্ষাগ্রহণ হবে। একটি বেঞ্চে একজন মাত্র পরীক্ষার্থীই বসবে। এ ছাড়াও মঙ্গলবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে,পরীক্ষা চলাকালীন স্পর্শকাতর এলাকায় প্রয়োজনে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে। প্রয়োজনে সিসিটিভি-ও বসানো হবে।
অন্য দিকে, পর্ষদ সূত্রে খবর, এ বার পরীক্ষার নজরদারির দায়িত্ব থেকে পার্শ্বশিক্ষকদের বাদ রাখা হচ্ছে। নজরদারির দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহারেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা থাকছে।