রাশিয়ার রাস্তায় যুদ্ধের প্রতিবাদে মহিলারা। ছবি সৌজন্য: রয়টার্স।
গত আট বছর ধরে দেশকে শুধু যুদ্ধই উপহার দিয়েছেন রুশ প্রেসিডন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অনৈতিক ভাবে ক্রিমিয়া দখলের পরিণাম হিসাবেই আজ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে রাশিয়া। সরকারের বিরুদ্ধে এমনই সব অভিযোগ তুলে রাশিয়ার রাস্তায় প্রতিবাদে নামলেন নারীবাদীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করুক রাশিয়া। বন্ধ হোক যুদ্ধ।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাপী নারীবাদী সংগঠনগুলিকে একত্রিত হওয়ার ডাক দিয়েছেন রাশিয়ার নারীবাদীরা। পুতিন-সেনা যখন বীরদর্পে ইউক্রেন আক্রমণ করছে, তখন দেশের মধ্যেই সরকার-বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিল নারীবাদী সংগঠনগুলো।
বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সারা মহাদেশের শান্তি বিঘ্নিত করেছে পুতিন সরকার। অথচ, চেষ্টা করলেই এই যুদ্ধ এড়ানো যেত। তা না করে দিনের পর দিন ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। আসলে অনেক আগে থেকেই যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়েছিল পুতিন সরকার। এমনই দাবি রুশ নারীবাদী সংগঠনগুলির।
রাশিয়ার ত্রিশটিরও বেশি শহরের রাস্তায় নেমে ইউক্রেন আক্রমণের প্রতিবাদ করছেন নারীবাদীরা। বেশ কয়েকজন প্রতিবাদীকে আটকও করছে রুশ পুলিশ। যদিও থেমে নেই প্রতিবাদ।
রাশিয়ার নারীবাদী সংগঠনগুলি বিবৃতি দিয়ে জানায়, যুদ্ধ মানেই হানাহানি, ধ্বংস আর প্রাণক্ষয়। যুদ্ধ মানে যেচে দারিদ্র এবং আর্থিক সঙ্কট ডেকে আনা। যুদ্ধ শুধু বোমা-বারুদের হিংসা নয়, হিংসা মহিলাদের প্রতি। প্রতিটি যুদ্ধে হাজার হাজার মহিলাকে ধর্ষিতা হতে হয়। যুদ্ধে অকাল মৃত্যুতে তৈরি হয় লিঙ্গ-বৈষম্য। বিবৃতির শেষাংশে লেখা হয়, ‘‘আমরা রাশিয়ার নারীবাদীরা এই যুদ্ধ, পুরুষতান্ত্রিকতা, স্বেচ্ছাচারিতা এবং সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা করছি।’’