পুতিন এবং জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রেগুলিতে রুশ সেনার হামলা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য চাইলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ হামলার জেরে ইউক্রেনের জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। গোলাবর্ষণের কারণে বৃহস্পতিবার ওই পরমাণুকেন্দ্রে আগুন ধরে গিয়েছে জানিয়ে নেটমাধ্যমে জেলেনস্কির অভিযোগ, ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে রুশ সেনা।’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতেই ইউরোপের বৃহত্তম ওই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দখল নিয়েছে রুশ ফৌজ।
রুশ বাহিনীর ট্যাঙ্কগুলি ‘থার্মাল ইমেজার’ সজ্জিত হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে পরমাণু চুল্লির এলাকা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করার মতো বিপজ্জনক কাজ করল সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। নেটমাধ্যমে জেলেনস্কির পোস্টে ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল পরমাণু দুর্ঘটনা এবং তাতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রসঙ্গেরও উল্লেখ রয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘সমস্ত ইউক্রেনীয়দের জন্য, সমস্ত ইউরোপীয়দের জন্য, সমস্ত মানুষের জন্য যাঁরা চেরনোবিল শব্দটি জানেন, সেখানে কত জন শিকার হয়েছিলেন জানেন।’
ইউক্রেন সরকার শুক্রবার জানিয়েছে, জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের একাংশে আগুন ধরলেও এখনও সেখানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কোনও চিহ্ন মেলেনি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে রুশ হামলার সময় ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা টুইটাকে লিখেছিলেন, ‘ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিজিয়া-তে রাশিয়ার সেনাবাহিনী চারিদিক থেকে গুলি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে আগুন লেগেছে। যদি এখানে বিস্ফোরণ হয় তাহলে এটি চেরনোবিলের থেকে ১০ গুণ বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।’
জাপোরিজিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কির হুঁশিয়ারি, ‘ইউক্রেনে ১৫টি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে যে কোনও একটিতে বিপর্যয় ঘনিয়ে এলেই সব শেষ।’