দেশের অস্ত্র শিল্পকে উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল ছবি
বছর ঘুরতে চলল। কিন্তু এখনও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামার নাম নেই। এই অবস্থায় দেশের অস্ত্র শিল্পকে উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাহলে ইউক্রেনে হামলার তীব্রতা বাড়ানোর কথা ভাবছে মস্কো? রাশিয়ায় অস্ত্র তৈরির রাজধানী হিসাবে পরিচিত তুলা। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পুতিন। সেই কারণেই প্রেসিডেন্ট পুতিনের মন্তব্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
পুতিন বলেন, ‘‘অস্ত্র উৎপাদকদের মূল কাজ হল সেনার হাতে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ গোলা-বারুদ মজুত থাকে তা নিশ্চিত করা।’’ এরই পাশাপাশি পুতিন উল্লেখ করেন, অস্ত্রের গুণমান উন্নয়নেরও। ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে গিয়ে রাশিয়ার সেনা বহু নতুন জিনিস শিখেছে। আগামী দিনে সেই অভিজ্ঞতা যুদ্ধাস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে বলেন পুতিন।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ দশম মাসে পা দিয়েছে। আর ক’দিনের মধ্যেই যুদ্ধের এক বছর পেরিয়ে যাবে। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে যুদ্ধ শেষের কোনও ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। বরং তা কতটা দীর্ঘায়িত হতে পারে, প্রশ্ন এখন সেটাই। ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে খোলাখুলি সহায়তা করছে ইউরোপের একাধিক দেশ এবং অবশ্যই আমেরিকা। অন্য দিকে রাশিয়াকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান। এই প্রেক্ষিতে যুদ্ধ কি আদৌ থামবে, নাকি নতুন অস্ত্রশস্ত্রে ভর করে তা ভয়ানক হয়ে উঠবে?