জো বাইডেন। ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনে যুদ্ধ অব্যাহত। ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণু শক্তি কেন্দ্রটি যে অঞ্চলে, সেই জ়াপোরিজিয়ায় হামলা চলছেই। সাম্প্রতিক রুশ হামলায় মৃত বেড়ে দাঁড়াল ১১। রাশিয়ার একটি এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র এসে আছড়ে পড়েছিল এক আবাসনে। ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে। মস্কোর পাল্টা দাবি, খেরসনে ইউক্রেনের গোলাবর্ষণে ৫ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে আজ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বললেন, ‘‘ঠান্ডা যুদ্ধের পরে এই প্রথম পরমাণু বিপর্যয়ের ভয় পাচ্ছে গোটা বিশ্ব।’’
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একটি অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘‘১৯৬২ সালে কেনেডি ও কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র অধ্যায়ের পরে আমরা আর সেই ‘আর্মাগেডন’-এর ভয় পাইনি। ইউক্রেনে আগ্রাসন নিয়ে যে পরমাণু হামলার ভয় দেখানো হচ্ছে, তা কিন্তু পুতিন কোনও রসিকতা করছেন না।’’ পুতিন সরাসরি কখনও পরমাণু হামলার হুমকি দেননি। কিন্তু কথাপৃষ্ঠে জানিয়েছেন, পশ্চিমের সমর্থনপ্রাপ্ত কিভ যদি আর কোনও পথ খোলা না রাখে, সে ক্ষেত্রে এই পথ নিতেই হবে। কিন্তু পুতিনের ইঙ্গিতকে হালকা করে দেখতে রাজি নন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই লোকটিকে খুব ভাল করে বোঝা হয়ে গিয়েছে। পরমাণু অস্ত্র কিংবা জৈবিক অস্ত্র, রাসায়নিক অস্ত্র, এ সবের কথা যখন উনি বলেন, তখন তা রসিকতা ভাবা উচিত নয়।’’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সেরি নাইকাউফোরোভ পুতিনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘পরমাণু হামলার আতঙ্ক তৈরি করে আপনি একটু বেশি এগিয়ে গিয়েছেন।’’ পাল্টা জবাব দিতে তৈরি হচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনীও। তারা দাবি করেছে, এক দিনে ২০টি রুশ ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা। বেশির ভাগই ইরানের তৈরি শাহিদ-১৩৬ ড্রোন। বিস্ফোরক ভর্তি করা ছিল ড্রোনগুলিতে। লক্ষ্য ছিল, যেখানে পড়বে, সেখানে বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটবে। কিন্তু তা বানচাল করে দেয় ইউক্রেন সেনা।